হারিয়ে যাচ্ছে দুষ্টু বন্যপাখি কিয়া
লিহান লিমা: নিউজিল্যান্ডের কিয়াপাখি সবচাইতে উঁচুতে বাস করা বিশ্বের একমাত্র তোতার প্রজাতি। কিন্তু বিদেশি পর্যটকদের শিকার বস্তুতে পরিণত হয়ে এবং স্থানীয় কৃষকরা একে ক্ষতিকর পতঙ্গ মনে করায় এই বিরল প্রজাতি এখন বিলুপ্তির সম্মুখীন।
দারুণ এক কৌতূহলী ও দুষ্টু পাখি কিয়া তোতা। পাখিপ্রেমিদের কাছে তার বুদ্ধিমত্তা, প্রকৃতিপ্রেম, সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত। এরা বাস করে আলপাইন তুন্দ্রায় (পৃথিবীর যেকোনো উঁচু পর্বতের ৩-৪ কিলোমিটার উপরে আলপাইন তুন্দ্রার অবস্থান)। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ আইসল্যান্ডের পর্বতে ৩.৫ মিলিয়ন হেক্টর জায়গা জুড়ে ছিল কিয়া’র আবাসস্থল।
কথা বলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে এবং কিছু ধাঁধাও সমাধান করতে পারে কিয়া। মজার বিষয় হল, বন্যপাখি কিয়া মানুষের জিনিসপত্র চুরি করতে দারুণ পটু। এছাড়াও ধারালোর ঠোঁট দিয়ে গাড়ির ক্ষতি করে তারা। এরা ছাগল-ভেড়ার পিঠে বসে ধারালো ঠোঁট দিয়ে তাদের চর্বি খেয়ে থাকে। আর এজন্যই তাদের বংশনিধন করছে স্থানীয় মানুষ।
কিয়া কনজারভেশন ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান তামসিন ওর-ওয়ালকার বলেন, ‘কিয়া নিউজিল্যান্ডের সবচাইতে বিচিত্র প্রাণী এবং আমাদের সবচাইতে প্রিয়। কিন্তু মানুষের সাথে তাদের দ্বন্দ্বের জন্য তাদের জীবন সংকটে। নিউজিল্যান্ডের কিয়া বিশেষজ্ঞ জোস কেম্প বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি যে কিয়া হারিয়ে যাবে। আমরা শিক্ষিত মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে কিয়ার প্রতি আমাদের দায় কতটা। এবং তাদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করতে চাইছি।
সরকারি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৮৬০ সাল থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিয়া মারা গিয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি