নিন্দিত-নন্দিত এসপি বাবুল আক্তার সন্তানদের দেখভাল করে সময় কাটাচ্ছেন॥ আছেন শ্বশুর বাড়িতেই
মাসুদ আলম : আলোচিত-সমালোচিত সদ্য চাকরিচ্যুত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আপাতত কিছুই করছেন না। ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির ও মেয়ে তাবাসসুম তাজনীন টাপুরকে দেখভাল করেই সময় পার করছে। কারো সঙ্গে তেমন কোনো কথাও বলেনা। আগামী ছয় মাস পর্যন্ত বাসায় থাকবে। তার পর সিদ্ধান্ত নিবে কোনো চাকরি করবে কিনা। চাকরি না করলে কি করে খাবে। গতকাল বুধবার দুপুরে এই প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ঈদও মেরাদিয়া বাসায় করেছে। গ্রামের বাড়িতে যায়নি বাবুল। চাকরি হারানোর পর এখনতো সে বেকার। বাবুলের কাছে চলার মতো টাকা পয়সাও নেই। চাকরি না করলে কি করে খাবে। তার সন্তানদের খরচ কোথায় থেকে পাবে। আমারতো কোনো চাকরি নেই। আমিতো বসেই খাচ্ছি। দুই সন্তানকে নিয়েই বাবুলের এখন সব চিন্তাভাবনা। সন্তানদের গোসল, খাওয়া দাওয়া ও বাহিরে নিয়ে যাওয়া সবই বাবুল করছে। সন্তানরাও তার বাবা ছাড়া কিছুই বুঝে না। মাঝে মধ্যে দোতলা থেকে নেমে আমার কাছে আসলেও আবার বাবার কাছে ছুটে যায় তারা।
মোশারফ বলেন, বাবুল তার স্ত্রীকে (মিতু) হারাল আবার শেষ সম্বল চাকরিও হারালো। চাকরির বিষয়ে আদালতের দারস্থ হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত এরকম কোনো চিন্তাভাবনা নেই। যা হওয়ার হয়েই গেছে।
তিনি আরও বলেন, মিতু হত্যায় সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখনো হত্যার কারণ জানতে পারেনি। মামলার অগ্রগতি কোন পর্যায় তাও জানি না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদৌ আমাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমাদেরই যোগাযোগ করে লাভ কি। ৫ জুন সকালে চট্টগ্র্রামে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন মিতু। সেদিন থেকেই মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার শ্বশুরবাড়ি মেরাদিয়ায় থাকছেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন