এ পর্যন্ত ইসিতে নিয়োগ পাননি কোনো নারী
দেলওয়ার হোসাইন : এ পর্যন্ত দেশের নির্বাচন কমিশনে ১১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ২৩ জন কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে কোনো নারী কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫ সদস্যের বর্তমান কমিশনের যাত্রা শুরু হয়। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। এখন নতুন কমিশন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, নারীরা এখন প্রশাসন ও বিচার বিভাগে অনেক অবদান রাখছেন। আগামী ৫ সদস্যের ইসি গঠনে কমপক্ষে একজন নারী নিয়োগ দিতেই হবে। এছাড়া ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর দলগুলোর গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে নারী সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ পদে রাখার শর্ত ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের জন্য বলেছে ইসি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে নারীদেরও নিয়োগ দেওয়া উচিত। ৫ জনের মধ্যে একজনও হতে পারে, দুজনও হতে পারে। দেশে এখন অনেক নারী আছেন যারা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব ছিলেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও জেলা জজ আছে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনে ‘কনফিডেন্ট’ লোক দরকারÑ যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এখানে পিএইচডির দরকার নেই। দরকার তাকেÑ যিনি নির্বাচনি আইনগুলো বুঝবেন এবং কাজ করতে পারবেন। এতে যাদের প্রশাসনিক জ্ঞান ও মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক বলেন, আগামী কমিশনে অন্তত একজন নারী থাকতেই হবে। আইন বা প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের নিয়োগ দিতে হবে। কারণ, নির্বাচন হলো আইন ও প্রশাসনের ব্যাপার।