অবসর না নিলে বাদ দেওয়া হতো টেন্ডুলকারকে!
স্পোর্টস ডেস্ক : শচীন টেন্ডুলকারকেও দল থেকে বাদ দেওয়া যায়! না, শেষ পর্যন্ত বাদ দিতে হয়নি, টেন্ডুলকার নিজেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সেই ঘোষণা না দিলে নাকি সত্যি সত্যি দল থেকে বাদ দেওয়া হতো! চমকে দেওয়া মতো এই খবরটা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তখনকার প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাতিল। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডুলকার নিজে ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন টেন্ডুলকার। অবশ্য ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেটা খেলেছেন এর বেশ আগে, ওই বছরের মার্চে ঢাকায় এশিয়া কাপে। আর পরের বছর নভেম্বরে টেস্ট থেকেও অবসরে যান কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। তবে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর এর মাঝে কখনো ফর্মের কারণে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। চোটের কারণে অবশ্য বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই টেন্ডুলকারকেই কিনা দল থেকে ছুড়ে ফেলার চিন্তা করছিলেন সন্দীপ পাতিলের নেতৃত্বাধীন তখনকার নির্বাচকেরা!
অবসরের পর অবশ্য শোনা যাচ্ছিল, তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু তখন সেসব স্রেফ গুঞ্জনই মনে হচ্ছিল। এত দিন পরে এসে সেটার সত্যতা স্বীকার করলেন পাতিল। ভারতের একটি মারাঠি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বরে আমরা শচীনের কাছে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই। ও বলেছিল, অবসরের কথা ভাবছে না। কিন্তু শচীনকে নিয়ে নির্বাচকম-লী এর আগেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল…বোর্ডকেও তা জানানো হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করার পরে আসলে শচীন বুঝতে পেরেছিল কী হতে যাচ্ছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম