গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মধুমতি বাওড় থেকে অবৈধ ফাঁদ পেতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও রেণু শিকার করছে স্থানীয় জেলেরা। বাওড়টি এখন অবৈধ মৎস্য শিকারীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। মৎস্য বিভাগে অভিযোগ করেও কোন ফলাফল পাওয়া যায় না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে ওই বহুল পরিচিত মধুমতি বাওড়টি এক সময় প্রবাহমান মধুমতি নদী নামে পরিচিত ছিল। তখন এ এলাকায় সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জনসাধারণ নৌ-পথে যাতায়াত করতো। এক সময় নৌকা-লঞ্চ-স্টিমারসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করতো। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াত ও মালামাল আনা নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম ছিলো নৌযান বা নৌ-পথ।
বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এ বিষয়টিকে কল্প-কাহিনী বা রুপ কথা বলেই মনে করে। অত্র এলাকার জনসাধারণ তৎকালীন সময় খুলনা থেকে লঞ্চের মাধ্যমে ফুকরা, তারাইল, পরানপুর, রাতইল, ঘোনাপাড়া, ধানকোড়া হয়ে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত লঞ্চেই যাতায়াত করতো এবং লঞ্চই একমাত্র বাহন ছিল। সময়ের বির্বতনে ১৯৬৯ সালে ওই এলাকার মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য তারাইল, ফুকরা, রাতইল, পরানপুর এলাকার মানুষ সংবদ্ধ ভাবে কোদাল ঝুড়িসহ বাছাড়ী নৌকা-বড় নৌকায় লংকারচর নামক স্থানে মধুমতি নদীর প্রেক্ষাপট বদলের জন্য প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জমি খনন করে দেন। নদীর গতি পথ বদলে যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা ক্রমে স্বাধীনতার স্বাক্ষী জয়বাংলার ঘাট এখন জয়বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করে।
এদিকে মধুমতি তার আপন গতি পেয়ে সোজা পথে চলতে থাকে। ক্রমান্বয় দিন পার হতে হতে মধুমতি তার মেরুদন্ড সোজা করে তারাইল বাকের ধানকোড়ার পথ বালুতে পূর্ণ করে দিয়ে সৃষ্টি করে এই বাওড়ের। ফলে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পায় বাওড়ের চারপাশের মানুষ। সম্পাদনা: তারেক