আনিসুর রহমান তপন: ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার অংশ হিসেবে একই পরিবারের একাধিক গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাস ও এ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবারপ্রতি গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উত্তর পাশে (দক্ষিণ প্লাজা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ‘ব্লেম গেম’ বা দোষারোপের খেলা না খেলে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) সরকারি ও বেসরকারি ৪৪টি সংস্থা ‘যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়নে প্রয়োজন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে ব্যক্তিগত, পরিবারপ্রতি গাড়ি ব্যবহারের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। গাড়ির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে হবে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকবে। আর দুর্ঘটনা, যানজট, নিয়মভঙ্গে কড়াকড়িভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনা, যানজটের ক্ষেত্রে যারা আইন ভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তি বিধানসংবলিত বিল সংসদে তোলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন সমীক্ষায় বারবার দেখা যায়, ঢাকা বিশ্বের ‘মোস্ট আনলিভেবল’ বা ‘বসবাস অযোগ্য’ শহরের মধ্যে দ্বিতীয়। এ মূল্যায়নে হেরফের হতে পারে। তবে ঢাকা এখন বসবাসের অযোগ্য তা মানতে হবে। যানজট আমাদের বাস্তবতা। দুর্ঘটনা আমাদের নিত্যদিনের যাতনা। দোষারোপের খেলা খেলে লাভ নেই। একজন আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপালে সমস্যা শেষ হবে না। এর সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থা মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে যানজটকে পরাজিত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বনানী ও মোহাম্মদপুর-মিরপুর এলাকার যেকোনো একটি সড়ক গাড়িমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ৮৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রায় এক কোটি লোকের বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ থাকে। পৃথিবীর বাসযোগ্য শহরগুলোর তুলনায় এটি বহুগুণ বেশি। ঢাকার তাপমাত্রা সাভার, গাজীপুরের মতো আশপাশের শহরের তুলনায় চার/পাঁচ ডিগ্রি বেশি। সম্পাদনা: রিকু আমির