প্রধানমন্ত্রীর দুটি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ‘নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য’ ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কারটি তিনি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীরাই যে পরিবর্তনের দূত, এ পুরস্কার তারই স্বীকৃতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পুরস্কার আমাদের নারীদের জন্য এক স্বীকৃতি, যারা আমাদের পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। তাই এ পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘ সদর দফতরে গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ প্লাজায় শেখ হাসিনাকে দেওয়া এক উচ্চপর্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে জাতিসংঘ উইমেন স্বীকৃতি পেলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারিয়ে লুইস কোলিরো প্রেসা ও জাতিসংঘের ফার্স্ট লেডি বান সুক তায়েককেও (বান কি মুনের স্ত্রী) এ ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ উইমেন ডেপুটি ডিরেক্টর লক্ষ্মীপুরি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের উদ্দেশে সম্মাননাপত্র পাঠ করেন। জাতিসংঘ উইমেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমঝিলে লাম্বো জিচুকা এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রেসিডেন্ট ও সিইও আমির ডোসাল সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নারীদের অগ্রযাত্রায় তার সরকারে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও স্পিকারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের প্রতিনিধিত্বের কথাও তুলে ধরেন।
এ পুরস্কারে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের পথ সব সময় সহজ ছিল না। কিন্তু সাহস আর ঐকান্তিক চেষ্টার মধ্য দিয়েই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেই পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে নারীর অধিকার সবার সম্মান পাবে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতা যেখানে হবে ইতিহাস।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ পৃথিবীর জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা নারী-পুরুষ সবার দায়িত্ব। মানব ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা পৌঁছেছি, যখন নারী-পুরুষের সমান অধিকার কেবল আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। জাতিসংঘের অধিবেশন চালাকালে এ সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বান কী মুনের সহধর্মীনি ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থায় নারীদের অংশগ্রহণ এখন অনেক শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপুমনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম