সামরিক শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে, ভারত না পাকিস্তান?
সাইফ নাসির: সম্প্রতি উরি আর্মি ক্যাম্পে ভারতীয় বাহিনীর উপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হওয়ার পর এ অঞ্চলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে দুই দেশের মনোভাব এখন সবচেয়ে হিংসাত্মক অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা ধারণা করছেন, এ পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
যুদ্ধ যদি বেঁধেই যায় তাহলে কোন দেশের সামরিক শক্তি কেমন আছে সেই বিষয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। যেহেতু সবদেশই সামরিক ক্ষমতা গোপন রাখার চেষ্টা করে তাই কোনো দেশের প্রকৃত অবস্থা জানা অত্যন্ত কঠিন। ইণ্টারনেট ঘেটে বিভিন্ন সূত্র যাচাই করে যে তথ্যগুলো পাওয়া যায় তার পরিসংখ্যান সব জায়গায় সমান নয়। তবে কাছাকাছি। সে হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক শক্তির কিছু পরিসংখ্যান দেখানো হলো।
যুদ্ধের ক্ষমতা কোন দেশের কেমন রয়েছে সেটা শুধু অস্ত্রের উপর নির্ভর করে না। যুদ্ধ করতে যে পরিমাণ খরচ হয় সে ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের রয়েছে কিনা সে হিসাবটিও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া প্রতিবছর সামরিক বাহিনীর জন্য কোন দেশের বাজেটের আকার কেমন এ বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
বাজেটের হিসেবে দুই দেশের মধ্যে এগিয়ে আছে ভারত। আবার পরমাণু অস্ত্রের হিসেবে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।
২০১৬ সালের বাজেটে ভারতের সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই বছর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৭.৬ বিলিয়ন ডলার।
যুদ্ধে জেতার একটি বড় নিয়ামক হলো পরমাণু অস্ত্র। ভারতের ইন্টারন্যাশনাল ব্যালেস্টিক মিসাইল অগ্নি-৫ ও ৬ (যথাক্রমে ৮ হাজার ও ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম) রয়েছে ১০০-১২০টা। পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে (শাহিন) ১০০-১৩০টা। সব হিসেবেই অন্তত ১০টা ক্ষেপণাস্ত্র বেশি রয়েছে পাকিস্তানের।
তবে যুদ্ধাস্ত্রের বাকি হিসেবগুলোতে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। ভারতের মিলিটারি স্যাটেলাইট রয়েছে ৫টা, পাকিস্তানের একটিও নেই। পৃথ্বি এয়ার ডিফেন্স নামের একটি মিসাইল ডিফেন্স সিসটেম রয়েছে ভারতের। পাকিস্তানের এই মিসাইল নেই তবে এই সিস্টেমের বদলে চীনের সহায়তায় পাকিস্তান অত্যাধুনিক ঔঋ-১৭ ঞযঁহফবৎ যুদ্ধবিমানসহ আরও অনেক যুদ্ধাস্ত্র নিজেই তৈরি করেছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি