কনডেম সেলে ২৯ মহিলা ফাঁসির আসামি মহিলা কারাগারে ঐশীর কান্না
আজাদ হোসেন সুমন: দেশের কারাগারের কনডেম সেলগুলোতে বাবা-মা হত্যাকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর তনয়া ঐশীসহ ২৯ মহিলা ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি চরম অস্বস্তিকর দিন কাটাচ্ছে। কেউ একবেলা খাচ্ছে তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকছে। উচ্চ আদালতে ফাঁসির দ- মওকুফ হবে নাকি নিম্ন আদালতের দ- বহাল থেকে ফাঁসি কার্যকর হবে রাজ্যের ভাবনা তাদের মাথায় ভর করে আছে। ভাবলেশহীন-জীবনন্ত লাশের মতো বেঁচে থাকা। কারাগারের অন্য যেকোনো সেলের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এই কনডেম সেলের চিত্র। কারাসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কাসিমপুর মহিলা কারাগারে ১৩ জন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ জন, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কারাগারে ৬ জন, খুলনা কারাগারে ২ জন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন কারাগারে ৪ জন মহিলা ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছে। নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত এ আসামিদের প্রত্যেকেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। কারও দ-ই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কি হবে এ ভাবনাতেই কারাগারের প্রকোষ্ঠে তাদের দিন কাটে।
যারা কনডেম সেলে তিনবেলা খাবার নিয়ে যায়। এর মধ্যে কোনো কোনো বন্দির খাবার ফেরত আসে। তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথাও বলেন না কারারক্ষীদের সঙ্গে।
এ ব্যাপারে এআইজি ( প্রিজন ) আল মামুন বলেন, এরা সাধারণত কথাবার্তা বলেন না। সবসময় গুরুগম্ভীর থাকেন। কনডেম সেলগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি সুরক্ষিত ও অন্যান্য সেল থেকে আলাদা। অন্যান্য বন্দিরা সেলের বাইরে নির্দিষ্ট গ-িতে বের হতে পারলেও ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদের সে সুযোগ নেই।
কাসিমপুর মহিলা কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বহুল আলোচিত পুলিশ ইন্সপেক্টর তনয়া ঐশী রহমান প্রায়ই কনডেম সেলে কান্নাকাটি করছে। ঈদের দুদিন আগেও তাকে অঝোর ধারায় কাঁদতে দেখা যায়। কান্নার কারণ বলছে না সে।