জাপার দুর্গ ভেঙেছি, জামায়াতের অভয়ারণ্য এখন মুক্ত : খালিদ মাহমুদ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির দুর্গ রংপুর বিভাগে এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী। রংপুর বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল জামায়াতের অভয়ারণ্য ছিল, আর এখন বলা যায় ওই এলাকাগুলো জামায়াতমুক্ত।
খালিদ মাহমুদ দাবি করেন, গত ৭ বছর রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব তিনি শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন বলেই এরশাদের দুর্গে হানা দিতে পেরেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের চরাঞ্চলগুলোয় ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াতকে হটাতে পেরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে নিজস্ব কার্যালয়ে আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন। পরপর দুবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিজের সাফল্য তুলে ধরেন খালিদ মাহমুদ।
২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় দলের ১৯তম কাউন্সিলে কী প্রত্যাশা করেনÑ এ প্রশ্নে খালিদ মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালের কাউন্সিলে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি ঠিকভাবে পালন করেছি বলেই ২০১৪ সালের কাউন্সিলে আবারও দায়িত্ব পেয়েছি। কোনো তদবির লবিয়িং করে এসব পদ পাওয়া যায় না। তাই আমি কোনো পদ-পদবির জন্য তদবির করি না। মাননীয় নেত্রী ( শেখ হাসিনা) যে দায়িত্ব দেবেন তা-ই পালন করব।
সাংগঠনিক সম্পাদকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নাজুক এসব অভিযোগকে অসত্য দাবি করে খালিদ মাহমুদ বলেন, রংপুর বিভাগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে সেমিনার, রাজনৈতিক কর্মশালা, তৃণমূল সভা এবং জেলায় জেলায় কর্মসূচি পালন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, মানবতাবিরোধী বিচারে জনমত তৈরি করেছি। এরপর বিএনপির আগুন সন্ত্রাস মোকাবিলা করেছি দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে। এখন মোকাবিলা করছি জঙ্গি সন্ত্রাস।
কাউন্সিলকে ঘিরে তার প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে বলেন, নেত্রী এখন এত ম্যাচিউরড যে, তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে নিজের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন। তিনি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে আস্থা বিশ্বাসে অটল, দৃঢ় নেতৃত্ব নিয়েই কমিটি গঠন করবেন। তাই আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, এক-এগারোর পর ২০০৯ সালে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দলের ৬ সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। তিনি রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৪ সালের কাউন্সিলেও একই পদে বহাল থাকেন। তিনি দিনাজপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী