সন্ধ্যা নদীর তীরে এখন শুধুই হাহাকার
সারীফা রিমু: বরিশালের বানারীপাড়ার দাসেরহাটে সন্ধ্যা নদীর পাড়ে এখন শুধুই হাহাকার। লঞ্চডুবিতে নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ।
সকালের স্নিগ্ধ আলোর কোমল বাতাসে ‘এমএল ঐশি’ নামের ওই লঞ্চটি যাত্রা শুরু করে। তখন সময় সাড়ে ১০টা। বানাড়ীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উজিরপুরের হাবিবপুরের উদ্দেশেই ছেড়ে যায় ঐশি।
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত দাসেরহাট মজিদবাড়ী ঘাটে ভিড়ে। যাত্রী উঠা-নামার এক পর্যায়ে নদী তীরের একটি বিরাট অংশ ভেঙে লঞ্চের ওপর পড়লে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে তীব্র ¯্রােতের কারণে তলিয়ে যায়।
পরিবাবারের প্রিয়জন আর উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অনেকেই এখন দিশেহারা, পাগল প্রায়। যারা ফিরে এসেছে জীবনের কঠিন ঐ মুহূর্ত থেকে জীবনের মূল্য হয়তো তাদের কাছে স্বর্গতুল্য। কিন্তু যারা ফিরে আসতে পারেনি তাদের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হলেও সান্ত¡না পায় এই ভেবে, মানুষটির শেষ মুখ দেখতে পেলো, শেষকৃত্যটুকু করে তাকে বিদায় জানাতে পারলো। কিন্তু যাদের খোঁজ নেই তাদের সান্ত¡নার ভাষাও নেই।
নিখোঁজের এক স্বজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায় জীবনের সকল পুণ্যের বিনিময়ে যদি একবার তার (নিখোঁজের) দেখা পাওয়া যেতো এটাই এখন আল্লাহর কাছে আকুতি। এমনই অনেকের অনেক রকম বিলাপে ভারি হয়ে উঠেছে সন্ধ্যা নদীর তীর।
উল্লেখ্য, লঞ্চটি বৃহস্পতিবার সকালের উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় লঞ্চের ভেতরে আরও চার শিশুর লাশসহ এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৮ জন। তবে নিহত ও নিখোঁজের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই আঙ্কা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি