‘শিব পুরাণ’ থেকেও মৃত্যুর প্রাগভাষ সম্পর্কিত এক বক্তব্য পাওয়া যায়, যার মূলকথা মৃত্যু নামক প্রহেলিকাটি সম্পর্কে আগে থেকে অবহিত হওয়া এবং অবশ্যই মৃত্যুভয় জয় করা। মৃত্যুকে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে দেখতে শেখায় ‘শিব পুরাণ’।
হিন্দু পুরাণ গ্রন্থগুলোর মধ্যে সব থেকে রোমাঞ্চকর কথাবার্তা সম্ভবত রয়েছে ‘গরুড় পুরাণ’-এ। বিশেষ করে মৃত্যু-সংক্রান্ত এক বিশাল এবং একই সঙ্গে বিচিত্র সন্দর্ভ সেই গ্রন্থে ধৃত রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে কেউ যদি ‘শিব পুরাণ’ পাঠ করেন তো দেখতে পাবেন, সেই মহাগ্রন্থেও চমৎকারের কিছু কমতি নেই।
১. মৃত্যুর সব থেকে বড় প্রাকলক্ষণ টের পাওয়া যাবে দেহের ভিতরেই। পুরাণ-মতে, কোনো ব্যক্তির দেহে যদি হলদেটে ভাব দেখা যায় এবং তাতে রক্তবর্ণের আভা থাকে, তবে বুঝতে হবে তার মৃত্যু সন্নিকটে।
২. যদি কোনো ব্যক্তি জলে অথবা দর্পণে তার ছায়া দেখতে না পান, তিনিও জানবেন তার মৃত্যুর বেশি দেরি নেই।
৩. যদি কেউ নিজের ছায়া দেখতে না পান, তিনি জানবেন তার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত্যু। কেউ যদি মু-হীন ছায়া দেখেন, সেক্ষেত্রেও বিষয়টি এক।
৪. মৃত্যুর আগে সবকিছুই কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যাবে। মৃত্যুপথযাত্রীর মুখ, জিভ, কান, চোখ, নাক পাথরের মতো হয়ে যাবে।
৫. যদি কোনো ব্যক্তি চন্দ্রালোক, আগুন অথবা সূর্য দেখতে না পান, তিনি জানবেন তার আয়ু ৬ মাস।
৬. কোনো ব্যক্তি যদি আকাশে ধ্রুব তারা দেখেতে না পান, তিনি জানবেন তার আয়ুও অস্তাচলে।
৭. আকাশ, চন্দ্র, সূর্য যদি কেউ লালবর্ণে দেখেন, তিনিও জানবেন মৃত্যু তার শিয়রে কড়া নাড়ছে।