কোচের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখায় বাদ আল-আমিন?
স্পোর্টস ডেস্ক : যারা গত কয়েক মাস বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেছেন, নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন পেসার আল-আমিনের ঝলক। অ্যাকশন বদল করার পর গতি, সুইং আর বাউন্স দিয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি হয়ে উঠেছেন তিনি।
এশিয়া কাপে ছিলেন সর্বাধিক উইকেট শিকারি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ২৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিকের তালিকায়। সেই আল-আমিনকে বাদ দিয়ে শফিউল ইসলামকে দলে নেয়ার কারণ হিসেবে নির্বাচকরা বলছেন, আলোচিত এই পেসার নাকি ফিট নন! কিন্তু অন্দরমহলের খবর বলছে ভিন্ন কথা।
বিসিবি সূত্র জানা গেছে, ফিটনেস পরীক্ষায় বিপটেস্টে ১৩.১ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমস্থান দখল করেন সাব্বির রহমান। ১২.৮ পয়েন্ট অর্জন করে দ্বিতীয় হন আল-আমিন। পেসারদের মধ্যে তার মতো ফিট আর কেউ নন। বিসিবিতে গতকাল শোনা গেল, প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের কারণেই দলে নেই এই পেসার। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরে কোচের সঙ্গে ‘হাই-হ্যালো’ ছাড়া কোনো কথাই বলেননি। বিশ্বকাপ চলাকালীন দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে হাথুরুর রোষানলে পড়েন। মাঝপথে তাকে দেশেও পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজে তাকে বিবেচনার বাইরে রাখেন তৎকালীন নির্বাচকরা।
শ্রীলঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহ বরাবরই নিয়মনীতির ব্যাপারে কড়া। নাসির হোসেনের মতো খেলোয়াড়কে তিনি সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন একই কারণে। বাংলাদেশ দলের গত কয়েক দিনের অনুশীলনেও হাথুরু-আমিন দ্বন্ধের চিত্র দেখা গেছে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচের বিরতিতে হাথরুসিংহ পেসারদের ক্যাচিং প্রাকটিস করাতে মাঠে নামেন। বিশেষ করে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় তাকে। ওই সময় আলাউদ্দিন বাবু, শফিউল, রুবেলসহ সবাইকে দেখা গেলেও আল-আমিন ছিলেন কোর্টনি ওয়ালশের কাছে। বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন। শেষ ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’ও হয়েছিলেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম