কায়িক পরীক্ষায় রোবট ডেলিভারি দেয় ঢাকা কাস্টমস হাউজ ধরে ফেলে শুল্ক গোয়েন্দারা
এইচ এম দেলোয়ার: কাস্টমস হাউজ থেকে রহস্যজনকভাবে ছাড়া পেয়ে যাওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে উদ্ধার রোবটের ব্যাপারে ৫ দিনেও থানায় কোনো মামলা হয়নি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কায়িক পরীক্ষায় রোবট ডেলিভারি দেয় ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ। পণ্য আমদানির ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক কম্পিউটার সামগ্রীর ঘোষণা দিয়েছিল। এয়ারফ্রেইটে কর্মরত সংশ্লিষ্ট রাজস্ব ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা কায়িক পরীক্ষা করেও কম্পিউটার পায়। হাউজের শুল্কায়ন গ্রুপ-৩ ওই কায়িক পরীক্ষার উপর পণ্যের ট্যাক্স আরোপ করে। সেই ট্যাক্স ব্যাংকে জমা দিয়ে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ পণ্য ডেলিভারিও নেয়। কিন্তু বাধ সাধে শুল্ক গোয়েন্দা। তারা কম্পিউটার কার্টনে রোবট ও গোয়েন্দা সামগ্রী খুঁজে পান।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের এয়ারফ্রেইটে কর্মরত সহকারী পরিচালক মাহবুবা জানান, রোবট জব্দ করে যথাযথ ইনভেন্ট্রি এবং আটক প্রতিবেদন ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলা করার দায়িত্ব এবং সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাসপেন্ড করার দায়িত্ব ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষের। ঢাকা কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ দিনেও সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা এবং আমদানিকারক গ্লোবাল কমনিউকেশন লিমিটেড, শাহ আমানত মার্কেট, চট্টগ্রাম ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স কেইউএম ট্রেডার্সের লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছেÑ শুল্ক গোয়েন্দারা গত ৮ সেপ্টেম্বর রোবট চালানটি জব্দ করলেও কেন ১৯ সেপ্টেম্বর তা ইনভেন্ট্রি করল।
শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মাহবুবা আরও জানান, পণ্যের চালানটি ঢাকা কাস্টমস হাউজ এক্সামিন (কায়িক পরীক্ষা) করে। কায়িক পরীক্ষার পর যথারীতি সোনালী ব্যাংকের কাস্টমস হাউজ শাখায় ট্যাক্স পরিশোধ করে তা ডেলিভারি দেয় ঢাকা কাস্টমস হাউজ। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাকযোগে পাচারের সময় আমরা অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করি।
সূত্র জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে ঢাকা কাস্টমস হাউজের এয়ার ফ্রেইটে কর্মরত রাজস্ব ও সহকারী রাজস্ব অফিসার এবং শুল্কায়ন গ্রুপ ৩-এ কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল আলিম এবং তার অধীনস্ত দুজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জড়িত। এদের কায়িক পরীক্ষা ও ট্যাক্স নির্ধারণে পণ্যের চালানটি ডেলিভারি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে আব্দুল আলিমের অফিসে গেলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলেন। যুগ্ম-কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ড. তাজুল ইসলামের সেলফোনে চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী