আজ মীনা দিবস শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই
দেলওয়ার হোসাইন: শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এই উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯৮৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী মীনা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি, ঝরে পড়া রোধ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছর এ দিবসটি পালিত হয়। মানসম্মত শিক্ষা পেলে শিশু বিবাহ ও শিশুশ্রম রোধ হবে এটিও এ দিবসটি পালনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, মীনা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঈদের ছুটির কারণে, আজ মীনা দিবসের কোনো কর্মসূচি নেই। তবে আগামী ১ অক্টোবর এ দিবস উপলক্ষে এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
১৯৯১ সাল থেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে মীনা দিবস পালন শুরু হলেও ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা-সংগঠন সার্কের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নব্বই দশকে সরকারি টিভি চ্যানেল বিটিভিতে ‘মীনা’ নামে একটি সচেতনতামূলক কার্টুন প্রচারের মাধ্যমে কন্যাশিশুর প্রতি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক সহযোগিতা থাকলে কন্যাশিশুরাও যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয়। সে সময়ে এই কার্টুনটি সব মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম