‘নাশকতার প্ল্যানতো দূরের কথা নিজেরাই দৌড়ের উপর’ গুলশান হামলায় বোমা সরবরাহকারী ভাগ্নে সোহেলসহ এক ডজন জঙ্গি নেতাকে খুঁজছে পুলিশ
আজাদ হোসেন সুমন: ভাগ্নে সোহেলসহ এক ডজন জঙ্গি নেতাকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে, মাস্টারমাইন্ড নূরুল ইসলামের নিকট আত্মীয় সোহেল ঢাকাতেই আত্মগোপন করে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মারজান, সোহেল ও মেজর জিয়া ছাড়াও পলাতক অন্য জঙ্গি নেতারা হচ্ছে- ওয়াসিম আজওয়াদ আব্দুল্লাহ ওরফে আসিফ আজওয়াদ, খেলাফত নেতা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ বাঙালি, আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর, রাজীব গান্ধী ওরফে রাজীব ওরফে শুভাষ ওরফে জাহাঙ্গীর, উত্তরাঞ্চলের মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালিদ, কমান্ডার মানিক, ইকবাল, মামুন, জুনায়েদ হাসান খান, সাকিব ওরফে মাস্টার, বাদল, সাগর, আকাশ, আজাদুল ওরফে কবিরাজ এবং ‘চকোলেট’ ছদ্মনামের একজন। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
সূত্র মতে, পুরনো জেএমবির শুরা সদস্য মাহফুজ সোহেল ওরফে হাতকাটা সোহেল ওরফে নাসিরুদ্দিন ওরফে ভাগিনা সোহেল দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকলেও গুলশানে হামলার কয়েক মাস আগে দেশে ফিরে নব্য জেএমবিতে সক্রিয় হয়। সে গুলশানে হামলার জন্য বোমা সরবরাহ করে। ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাকারী সোহেলসহ প্রায় একডজন জঙ্গি নেতা বর্তমানে ঢাকায় আছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। সর্বশেষ শেওড়াপাড়ায় একটি বাসার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে কিছুদিন আগেও সোহেলসহ কয়েকজন ছিল।
ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন গতকাল বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে অনেক তথ্য উপাত্ত পেয়েছি। অভিযানের সময় কয়েকজন মাস্টারমাইন্ড মারা গেছে। অনেক আলামত মিলেছে। আমরা এখন পুরো চেইনটার ব্যাপারে তদন্ত করছি। এরই মধ্যে ঢাকায় কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জঙ্গিদের প্ল্যানপ্রোগ্রাম অনেকটাই নস্যাৎ হয়ে গেছে। যে কারণে বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল, তা শেষ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বলেন, জঙ্গিরা ঘনঘন বাসা বদল করছে। অব্যাহত পুলিশি অভিযানের মুখে তারাও স্বস্থিতে নেই। তারা নাশকতার পরিকল্পনা দূরের কথা এখন নিজেরাই দৌড়ের উপর আছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম