আবারো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ!
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: কে হবেন আওয়ামী লীগের এবারের সাধারণ সম্পাদক- এ প্রশ্নের জবাব এখন অনেকটাই স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন পদ পেতে তদবির জোরালো থাকলেও দলের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে কোনো তদবির হচ্ছে না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবারও এ পদটি পাচ্ছেন বলে আলোচনায় সরব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দলের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দলের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন পদ নিয়ে তদবির শুরু হয়। সেই সময় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও কয়েকজন তদবির করেছেন। এরমধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্তত ৮ জনের নাম শোনা গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর চলতি বছরের ২৮ মার্চ ও পরবর্তীতে পিছিয়ে জুলাইতে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও এ তদবির আরও জোরালো হয়। কিন্তু এখন আর কেউই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তদবির করছেন না।
দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ পদে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা) আস্থাভাজন ব্যক্তি হলেন সৈয়দ আশরাফ। বিভিন্ন সভায় ও কার্যক্রমে তিনি (শেখ হাসিনা) সেটা প্রকাশ করেছেন। দু-একজন সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার কাছে নালিশ নিয়ে গেলে উল্টো অপদস্থ হয়ে বেরিয়ে এসেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের পদ পাচ্ছেন এটা অনেকটাই নিশ্চিত নেতাকর্মীদের কাছে। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর।
সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে প্রত্যাশাী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে এ পদের জন্য উপযুক্ত মনে করবেন তিনিই হবেন সাধারণ সম্পাদক। আমি এ পদের জন্য কোনো তদবির বা লবিং করছি না। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এ পদের জন্য কেউ তদবির করছেন না। আর করলেও লাভ নেই। কারণ এটা নেত্রী ঠিক করবেন। এ পরিস্থিতিতে যাকে দলের জন্য দরকার তিনি এ পদ পাবেন।
২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হন। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি দলের যুগ্ম সাধারণ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম