আরিফুর রহমান: ফুটপাতে অবাধে চলছে ক্ষতিকর নকল প্রসাধনী বেচাকেনা। পরিত্যক্ত কৌটায় ভেজাল প্রসাধনী ভরে বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। সস্তায় এসব পণ্য কিনে ক্যান্সারসহ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন এসব পণ্য ব্যবহারকারীরা। ফুটপাতে নামি-দামি ব্রান্ডের এসব প্রসাধনী সহজেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে। মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল, কোনটা নকল। দাম কম, সঙ্গে বিক্রেতার ছলচাতুরি। সহজেই প্রতারণার ফাঁদে পা দেন সাধারণ মানুষ। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
ফুটপাতে এসব নামি-দামি ব্র্যান্ডের সুগন্ধি, শ্যাম্পু, লোশন বিক্রি হয় দোকানের চেয়ে অনেক কম দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন পুরান ঢাকার চকবাজারে তৈরি হয় এসব নকল প্রসাধনী সামগ্রী। বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল মোড়কের কিছু তৈরি হয় দেশে। আবার অসাধু চক্র চীন থেকে নিয়ে আসেন নকল প্রসাধনী সামগ্রী ।
নকল এসব পণ্য ব্যবহারে ক্যান্সার ও মারাত্মক চর্মরোগের ঝুঁকি আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউ-এর প্রো ভিসি শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘নকল প্রসাধনী কেনা থেকে সাবধান থাকতে হবে। এমনকি দামি প্রসাধনী কখনও কখনও কোনো মানুষের চামড়ায় বিভিন্ন রকমের এলার্জি তৈরি করতে পারে, ক্ষত তৈরি করতে পারে’।
বিএসটিআই বলছে ভেজাল পণ্যে বিক্রি বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। তবে ব্যবহারকারীরা সচেতন হলে বন্ধ হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।
মিডফোর্ড, চকবাজার, কেরানিগঞ্জসহ রাজধানীর আশপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি নকল প্রসাধনী সামগ্রী ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি