পরাগ মাঝি: আলোকবছর যত দূরেই থাকুক না কেন, এলিয়েনদের তন্ন-তন্ন করে খুঁজে বের করবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। নির্মাণের পর এবার কাজ শুরু হতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চীনাদের স্থাপন করা এ টেলিস্কোপটি। আশা করা হচ্ছে এ সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে এর বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ উদ্দীপনার যেন শেষ নেই।
১ হাজার ৬৪০ ফুট ব্যাসের গোলাকৃতির এ টেলিস্কোপ প্রায় ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান। এ বিশাল টেলিস্কোপ দূরবর্তী রেডিও সিগনাল এবং বিভিন্ন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রাণের সাড়া খুঁজে বেড়াবে।
এলিয়েন গুপ্তচরদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে চেষ্টারত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এমইটিআই-এর প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভেকোচ বলেন, ‘টেরিস্টেরিয়াল গুপ্তচরবৃত্তির ক্ষেত্রে চীনাদের উদ্যোগ একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এক পুরো কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আরও জানা গেছে, এই টেলিস্কোপ দিয়ে মহাশূন্যের প্রথম ছবিটিকে নামকরণ করা হবে প্রথম আলো বা ফার্স্টলাইট নামে।
এ টেলিস্কোপ স্থাপনে চীনাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮৫ মিলিয়ন ডলার। ২০১১ সালে এর স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ৯ হাজার মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটি আলোর মুখ দেখছে। এটি স্থাপন করা হয়েছে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুইজোতে। প্রায় ১০ বছর ধরে ৪০০ বিজ্ঞানী অনুসন্ধান করে এর উপযুক্ত স্থান হিসেবে গুইজো প্রদেশের পাহাড় বেস্টিত একটি গ্রামকে বেছে নেয়। বিদ্যুৎ সংযোগহীন এ গ্রামে ১২টি পরিবারের ৬৫ জন সদস্যের বসবাস ছিল। পরবর্তীতে তাদের নিকটবর্তী এক শহরে স্থানান্তর করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলেও বর্তমানে টেলিস্কোপের বিশাল কর্মযজ্ঞ তাদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। তারা বিস্ময়ে অপেক্ষা করছে দূরবর্তী এলিয়েনদের সঙ্গে কবে প্রথম তাদের গ্রাম থেকেই পৃথিবীর যোগাযোগ স্থাপন হয়। অপেক্ষা করছে সারা বিশ্ববাসীও। সূত্র : সিএনএন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম