সাজ্জাদুল হক: গত কয়েক বছর ইলিশ মাছের অনেকটা আকাল চললেও চলতি বছর সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের সবগুলো উপকূলীয় এলাকার চিত্র একই রকম। সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারও প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর প্রভাবে ইলিশের ঝাঁক গতিপথ পাল্টে বঙ্গোপসাগরমুখী হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূল এবং সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে।
প্রতি ১৪ থেকে ১৫ বছর অন্তর এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলেও জানিয়েছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে চলতি বছর ইলিশ মাছ ধরার পরিমাণ এ যাবত কালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে মৎস্য অধিদপ্তর। তথ্যসূত্র: সময় টিভি
শুধু চট্টগ্রামের পাঁচটি উপজেলায় এবার ৮ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা দশ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরো বছর জুড়ে সাগরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেলেও আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসকে ধরা হয় ইলিশের ভরা মৌসুম। চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী উপজেলা বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকু-, মীরসরাই এবং সন্দ্বীপে ২০১৪ সালে ২ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৫ সালে ২ হাজার ৭শ’ ৩১ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়ে। সে অনুযায়ী এবার বছরের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ভরা মৌসুমের প্রথম মাসেই ধরা পড়েছে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ মাছ। যে কারণে আরও দু’দফা বাড়িয়ে এখন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার মেট্রিক টন। তাই মাছের বাজারগুলো এখন ইলিশ মাছে ভরপুর। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় দামও অনেক কম।
ইলিশকে মাইগ্রেন্ট প্রজাতির মাছ হিসেবেই ধরা হয়। যে কারণে প্রজনন মৌসুমে ডিম পাড়ার জন্য ইলিশ মাছের ঝাঁক গভীর সাগর থেকে নদীর দিকে চলে আসে। তাই ডিম পাড়ার সময় মা ইলিশ রক্ষার্থে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি