২৫ প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে চীনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি
গাজী মিরান: ২৫টি প্রকল্পে প্রায় ২ হাজার ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন নিশ্চিত করতে চীনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সম্ভাব্য সফরের আগেই এই চিঠি দেয়া হলো। যাতে চীনের সহযোগিতা না পেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো যায়।
জানা যায়, এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের জন্য বাণিজ্যিক চুক্তি করে চীনের এক্সিম ব্যাংকের কাছেও পাঠানো হয়েছে ঋণপ্রস্তাব। চীনের সাড়া পেলে, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে চূড়ান্ত হবে প্রকল্পের তালিকা।
ভারতের গোয়ায় ব্রিকস সামিটে যাবার পথে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ১৪ অক্টোবর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংএর। তার এই সফরকে সামনে রেখে, ২৫টি প্রকল্পে ২ হাজার ৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্য কোনো উন্নয়ন অংশীদারের সাথে আলোচনার আগেই বেইজিংয়ের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য চায় ঢাকা। যদিও এসব প্রকল্পের কয়েকটি নিয়ে আলোচনা চলছিল আগে থেকেই।
২৫টির মধ্যে দুটি প্রকল্পের জন্য বাণিজ্যিক চুক্তি করে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছে ঋণ প্রস্তাবও। তবে সে বিষয়েও সাড়া আসেনি এখনো। সেগুলো হলো ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গর্ভমেন্ট ফেইজ থ্রি ও ৭০৫ দশমিক আট শূন্য মিলিয়ন ডলারে কর্ণফুলি নদীতে টানেল নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া চীনের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পগুলো হলো সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন ৫০০.৪৬৬ মিলিয়ন ডলার, রাজশাহী ওয়াসার সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ৫০০ মিলিয়ন ডলার, সিস্টেম লস রিডাকশন রিপ্লেসিং ৫ মিলিয়ন ডলার, ইলেক্ট্র মেকানিক্যাল এনার্জি মিটার উইথ ইলেক্ট্রনিক এনার্জি মিটার ১৬৫.৯৮ মিলিয়ন ডলার, এক্সেপেশন এন্ড এস্ট্রেন্দিনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট ২০৩৮.০৬ মিলিয়ন ডলার, পদ্মা ব্রিজে রেইল লিংক ফেইজ ওয়ান ও ট্যু ১৬৫৮.৫৭ মিলিয়ন ও ৯১৭.১৮ মিলিয়ন ডলার, পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক এস্ট্রেন্দিনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি ১৩২১.৮৩ মিলিয়ন ডলার, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৩৯৩.৯৮ মিলিয়ন ডলার, মডার্ন নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেকটিভিটি ২০০ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: চ্যানেল ২৪
তবে এর বাহিরেও আরও ১৩টি প্রকল্প চেয়েছিল বাংলাদেশ, যদিও কোনো সাড়া মেলেনি চীনের কাছ থেকে। সেগুলো হলো এ ডিজিট্র্যাক প্যারালাল ট্যু দি এক্সিসটিং এমজি লাইন ইন জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সেকশন ২৫৮.৩৬ মিলিয়ন ডলার, ডাবল লাইন বিটুইন জয়দেবপুর-ঈশ্বরদি সেকশন ৭৫২.৭৯ মিলিয়ন ডলার, স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি ১০০০ মিলিয়ন ডলার, মেরিনড্রাইভ এক্সপ্রেসওয়ে এন্ড কোস্টাল প্রটেকশন ওয়ার্কস ফ্রম সীতাকুন্ড-চিটাগং-কক্সবাজার ২৮৫৬.৫৬ মিলিয়ন ডলার, এক্সপেশন এন্ড মডার্ননাইজেশন অফ মংলা পোর্ট ফ্যাসিলিটিস ২৪৯.১৭ মিলিয়ন ডলার, এক্সটেনশন অফ দ্য এক্সিসটিং আন্ডার গ্রাউন্ড মাইনিং অপরাশেন অফ বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং ২৫৬.৪১ মিলিয়ন ডলার, গজারিয়া ৩৫০ মেগাওয়াট কয়েল ফায়ার্ড থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ৪৩৩ মিলিয়ন ডলার, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত এমজি রেলওয়ে ট্র্যাক ১৭৫৬.০৫ মিলিয়ন ডলার, প্রিপেইমেন্ট মের্টানিঙ প্রজেক্ট ফর বিপিডিবি ডিস্ট্রিবিউশন জোনস ৫২১.৫৬ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া আর ৪টি প্রকল্প ঝুলে আছে সিদ্ধান্তহীন অবস্থায়। তবে চীনের সাড়া পাবার পর আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করে চূড়ান্ত করা হবে প্রকল্পের তালিকা।