জীবনের উদ্দেশ্য কি?
জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই চেতনাকে জীবিত করা, যেটা জন্ম এবং মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত আছে। সেটাকে জানাই হচ্ছে মোক্ষ।
জন্ম আর মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত কে?
যিনি স্বয়ং নিজে ঐ আত্মাকে জেনে ফেলেছেন, তিনিই জন্ম ও মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছেন।
সংসারে দুঃখ কেন আছে?
লোভ, স্বার্থ আর ভয়ই সংসারে দুঃখের মূল কারণ।
ঈশ্বর কি দুঃখের রচনা করেছেন?
ঈশ্বর সংসার রচনা করেছেন আর মনুষ নিজের বিচার আর কর্মের দ্বারাই দুঃখ আর সুখের রচনা করেছেন।
ঈশ্বর কি আছেন ? কে উনি?
কারণ ছাড়া কাজ হয় না। এই সংসার ঐ কারণেরই অস্তিত্বের প্রমাণ। তুমি আছো আর সেই জন্যই তিনিও আছেন। ঐ মহান কারণকে আধ্যাত্মের ভাষায় ‘ঈশ্বর’ বলা হয়ে থাকে।
এই জগতে সবচেয়ে বড় আশ্চর্য কি?
প্রতিদিন হাজারো লোকের মৃত্যু হচ্ছে এবং এটা সবাই দেখছে, তারপরও সবাই পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে এরচেয়ে বড় আশ্চর্যের আর কি হতে পারে।
ভাগ্য কি?
প্রত্যেক ক্রিয়া, প্রত্যেক কাজেরই একটি পরিণাম থাকে। পরিণামটা ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে। এই পরিণামই হচ্ছে ভাগ্য তথা আজকের প্রযতœই কালকের ভাগ্য।
কোন জিনিষকে হারিয়ে মানুষ ধনী হতে পারে?
লোভ।
জীবনে সুখী থাকার উপায় কি?
ভালো স্বভাব।
কোন জিনিষ হারিয়ে গেলে দুঃখ হয় না?
ক্রোধ।
ধর্ম ছাড়া এই সংসারে আরেকটি মূল্যবান জিনিস কি?
দয়া।
কোন জিনিষ অপরকে দেওয়া উচিৎ নয় ?
কষ্ট ও বিশ্বাসঘাতকতা।
কোন জিনিস জীবকে সবকিছু করতে বাধ্য করায়?
নিরুপায় বা মজবুরি।
এই দুনিয়ার সবচেয়ে অপরাজিত জিনিস কোনটি?
সত্য।
সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক কার্য কোনটি?
পরোপকার।
দুনিয়ার সবচেয়ে স্বর্গীয় স্বপ্ন কি?
জীবের বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
দুনিয়ার সবচেয়ে অপরিবর্তনীয় জিনিস কোনটি?
মৃত্যু।
কোন জিনিষ জীব নিজে বুঝতে পারে না?
নিজের মুর্খতা।
দুনিয়ার কোন জিনিস কখনো নষ্ট হয় না ?
আত্মা ও জ্ঞান।
দুনিয়ার কোন জিনিষ কখনো থেমে থাকেনা ?
সময়।