রিভার্জ চুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় এখনো গলদ হামলার আশঙ্কা
আরিফুর রহমান: রিজার্ভ চুরির আট মাস পার হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় জোরদারে নেয়া হয় নি সমন্বিত ব্যবস্থা। নেই কোন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও। দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আবারও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর আলোচনায় আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি। কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি পরায়ন মানসিকতার কথা উঠে আসে তদন্ত প্রতিবেদনে। ঘটনার পরপরই রিজার্ভ হ্যাকিং রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ব্যাক অফিসের নিরাপত্তা জোরদার করা। চব্বিশ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা। সুইফটের সঙ্গে আরটিজিএসের সংযোগ বিছিন্ন করা। সুইফট অ্যালাইন্স অ্যাসেস আপডেট সার্ভার স্থাপন।
তবে পুরো ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বিত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রযুক্তিবিদ রাকেশ আস্তানাকে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হলেও তা বাতিল করা হয়।
আবার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়ায় সুপারিশ সম্পর্কেও জানতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রযুক্তিবিদ আহমেদ খুরশিদ বলেন, ‘বর্হিবিশ্বে গত এক দেড় বছরে যত হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করা। নিজেকে হ্যাকারের পজিশনে বসিয়ে চিন্তা করে দেখা আমার যে সিস্টেম আছে সেটা কিভাবে ভাঙ্গা যায়’।
বিশ্লেষকরা বলছেন ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যপদ্ধতি পুনঃমূল্যায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি প্রযুক্তি জ্ঞাণ সম্পন্ন কর্মকর্তাকে আইটি বিভাগের প্রধান করা। একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে বিজি করা। কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা।
তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আমি মনে করি ডেপুটি গভর্নর পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির একজন বিশেষজ্ঞ থাকা উচিত’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘যেখানে জাতীয়ভাবে বিরাট ক্ষতি হবে সেখানে সমঝোতা করার কোন সুযোগ নেই। সেখানে প্রকৃতপক্ষেই দক্ষ লোক বসাতে হবে’।
এখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি