বিমানবন্দরে জব্দকৃত রোবট তদন্তে মাঠে নেমেছে র্যাব
এইচএম দেলোয়ার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দকৃত রোবট তদন্তে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করছে। রোবটটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি নাÑ তাও খতিয়ে দেখছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গত তিনদিন ধরে বিমানবন্দরে এসে কাস্টমস ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার র্যাবের একজন কর্নেল ও একজন উইং কমান্ডার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ঢাকা কাস্টমস হাউসে এসে বৈঠক করেছেন। কাস্টমস হাউসের একজন যুগ্ম-কমিশনার জানান, ১৫ কেজি ওজনের রোবটটি অধিকতর তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট)-সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
ঢাকা কাস্টমস হাউস বলছে, কাস্টমসের ব্যাগেজ রুলে রোবট আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য নয়। তবে তা আমদানিতে বিটিআরসির এবং ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন লাগবে। আর জব্দকৃত পণ্যটি আসলে রোবট নয়। এটি নেবুলাইজিং ইনহেলারের মতো হাঁপানি নিরাময় যন্ত্র মাত্র। একজন চিকিৎসক তার মায়ের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে এটি আমদানি করেন। ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ শতকরা ৬১ ভাগ শুল্ক আদায় করে তা খালাস দেয়। অথচ রোবটের শুল্ক শতকরা মাত্র ১ ভাগ। কাস্টমস তো ১ ভাগের স্থলে ৬১ ভাগ শুল্ক আদায় করে সরকারের শুল্ক পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ শুল্ক গোয়েন্দারা রোবটের মতো দেখতে পণ্যটি জব্দ করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় হুমকি বলে গণমাধ্যমে প্রচার করছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে।
তবে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের দাবি, জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে গোয়েন্দা সামগ্রী পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার ড. তাজুল ইসলাম জানান, জব্দকৃত রোবট অধিকতর পরীক্ষার জন্য বুয়েটসহ অন্যান্য রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। রোবট বিষয়ে তদন্তে এসে বিভিন্ন সংস্থা আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। সম্পদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী