নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর) : টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়লসে বিস্ফোরণের ঘটনার ১৫ দিন পর ভেতরের এক শ্রমিকের মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। একটি মরদেহের মাথার খুলি ও মেরুদ-ের অংশ পাওয়া যায়। বাকি অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার দুপুরে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল আজম।
তিনি বলেন, আনিসুর রহমান নামে এ কারখানার নিহত এক কর্মীর লাশের খোঁজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন রবিউল ইসলাম। ধ্বংসস্তূপের মাঝামাঝি অংশে ওই শ্রমিকের দেহাবশেষটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ কারখানায় দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যুর নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তা শফিউল আজম। উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষটি তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে কারখানার শ্রমিক জুলফিকারের ধারণা, এটি প্রিন্টিং কর্মী আজিম উদ্দিনের লাশ। টাম্পাকো দুর্ঘটনার কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসসহ তিনটি সংস্থাকে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সাতদিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাাসক এসএম আলম। দমকল বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা অধিদফতর ঘটনার কারণ তদন্ত করছে বলে জানা যায়। তবে বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বিস্ফোরণের জন্য টাম্পাকোর ভেতরের রাসায়নিকের মজুদকে দায়ী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় টাম্পাকো ফয়লসে। তখন সেখানে রাতের পালার কাজ চলছিল। তখন কারখানাটিতে কতজন শ্রমিক ছিলেন এবং আগুন ধরার আগে কত জন বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। এ বিস্ফোরণ ও পরে আগুনে ৫ তলা কারখানা ভবনটি কার্যত ধসে পড়ে। সেনাবাহিনীর একটি দল এই ধ্বংসাবশেষ কেটে সরিয়ে নিচ্ছে। ভেতরে বিপুল রাসায়নিক মজুদ থাকায় তাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে বলে উদ্ধার অভিযান এখনও শেষ করা যাচ্ছে না। এ ঘটনার পর থেকে কারখানা মালিক বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন আত্মগোপনে আছেন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হলেও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা