নিউইয়র্ক টাইমসে বিশ্লেষণ হিলারি কি পারবেন আপনাকে নিরাপদ রাখতে?
সীমান্ত: যখন আপনি ভয় পান তখন আপনি কার সাথে বেশি নিরাপদ অনুভব করেন? আপনার মা নাকি বাবা?
এই প্রশ্নটা নিয়েই এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। তাদের ভাবা উচিত জঙ্গিবাদের এই যুগে তাদের হিলারি ক্লিনটন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর নেতৃত্বে ভরসা রাখা উচিৎ। আগামী সোমবারের প্রেসিডেন্টশিয়াল বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে এই প্রশ্নটিই। এই বিভ্রান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এই প্রশ্নটির উত্তরটিও আমাদের ধারণার বাইরে।
রিপাবলিকান দলটি আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়ে এগিয়ে। অপরদিকে পুরুষরা নিরাপত্তা বেশি দিতে পারবে এই ব্যাপারটিও সাধারণ মানুষের মনোজগতে বেশি কাজ করে। তাই পুরো বিশ্বে যখন জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করছে তখন পুরুষরা নিরপাত্তা বিষয়ে এগিয়ে থাকা স্বাভাবিক। অপরদিকে ধরেই নেয়া হয় নারীরা ¯েœহ করলেও নিরপাত্তা খুব বেশি দিতে সক্ষম নয়। অপরদিকে ডেমোক্রেটরা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে রিপাবলিকানদের থেকে দুর্বল। ফলে রিপাবলিকানদের পক্ষে দুটো বিষয় রয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য এবং তাদের দল। এদিক থেকে ডেমোক্রেট নারীরা পিছিয়ে। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে হিলারির বেশ ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তাহলে এই নির্বাচনে কি হবে? একদিকে ডেমোক্রেট প্রার্থীর অভিজ্ঞতা রয়েছে নিরাপত্তার বিষয়ে অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থীর কোনো অভিজ্ঞতাই নেই এই ব্যাপারে বরং রয়েছে দলীয় অবকাঠামো এবং মুখের বুলি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারী ক্লিনটন একে অন্যকে অযোগ্য আখ্যা দিয়ে, যে যার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওহাইতে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, হিলারী সন্ত্রাসী হামলা ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে পরাস্ত করতে পারবেন না। অপরদিকে হিলারী পেনসেলভেনিয়ায় তাঁর নির্বাচনী সমাবেশে বলেছেন, ট্রাম্প আমেরিকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
ইসলামিক স্টেটের উত্থানের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন দায়ী মন্তব্য করে ওহাইর ইয়ংস্টোনে রিপাবলিকান দলীয় নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাদেরকে পরাস্ত করবেন।
রাশিয়ার বন্ধু, একটি ইউক্রেনিয়ান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টের লোভনীয় একটি চুক্তি হওয়ার বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। তবে ম্যানাফোর্ট ঐ দল থেকে কোনো অর্থ গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন। রাশিয়ার সঙ্গে তার পুরানো ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
সঠিক ব্যাপারটি হচ্ছে এই বিষয়গুলো এখন অনেক বেশি পুরানো হয়ে গেছে। কারণ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমেরিকার মানুষ এখন নারী, পুরুষ দুজনকেই সমানভাবে বিশ্বাস করেন। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত করা জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এটি উঠে এসেছে।
বর্তমানে আপনি কোন লিঙ্গের তার থেকে বেশি গুরুত্ব পায় আপনার রাজনৈতিক অবস্থান। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি