বহিরাগত হামলার শিকার হলে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাহোরে চীনের কনসাল জেনারেল ইউ বোরেনকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই বিবৃতিতে বোরেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘কোনোরকম (বহিরাগত) হামলা হলে আমরা পাকিস্তানকে সব রকম সমর্থন দেব।’ সূত্র: ডন, হিন্দুস্তান টাইমস
কাশ্মীর প্রশ্নেও পাকিস্তানের অবস্থানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বোরেন। তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা পাকিস্তানের পাশে আছি এবং থাকব। নিরস্ত্রদের দমন-পীড়নের এখনও কোনো বিচার হয়নি। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত কাশ্মীরবাসীর ইচ্ছা মেনেই।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কোনো বহিরাগত আক্রমণ হলে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে চীন। তবে একে কৌশলগত মিথ্যাচার হিসেবেই দেখছে দিল্লি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চিনা কূটনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেই আলোচনায় এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে।
তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি মনে করছে, আসলে ভারতীয় সেনাহামলার আগাম আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তান। তাই আগে ভাগেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে। দিল্লির ধারণা, চীন নিজে সরকারিভাবেু এ নিয়ে কিছু বলেনি। সে দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তান পাল্টা চাপ তৈরি করে রাখছে ভারতের উপর, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে লাইন অব কন্ট্রোলের নিকটে সামরিক বাহিনীর একটি প্রশাসনিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৭ সেনা সদস্য ও ৪ হামলাকারী নিহত হন। হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদকেই সন্দেহ করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই ভারত দাবি করে আসছে, জঙ্গি এ সংগঠন পাকিস্তানের সৃষ্টি এবং পাকিস্তানে থেকেই কর্মকা- পরিচালনা করে। বিপরীতে পাকিস্তানের দাবি, কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী মানুষদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। কাশ্মীরকে জোর করে দখল করে রেখেছে তারা।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের দিক থেকে জঙ্গিবাদের অভিযোগ আর পাকিস্তানের দিক থেকে মানবাধিকার হরণের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশ সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিতর্কে অংশ নেয়। সেখানেও চলে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগার। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা