উভয় সংকটে কাশ্মীরের সাংবাদিকরা
সজল সরকার: চলমান সহিংসতার মধ্যে ভারতের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের সাংবাদিকরা পড়েছেন উভয় সংকটে। জনরোষ ও পুলিশের হয়রানিতে সেখানকার সাংবাদিকতা এক রকম হুমকির মুখেই পড়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা খবর সংগ্রহ করতে গেলে জনগণ কোনো পক্ষের দালাল বলে সাংবাদিকদের মারধর করছে, অন্যদিকে সঠিক খবর প্রচার না করে উস্কানিমূলক খবর প্রচারের দায়ে পুলিশও নানান ধরনের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ মাসের ৩ তারিখ কাশ্মীরের সব ফটো সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে একটি সমাবেশও করেছে।
সম্প্রতি কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ২০ সেপ্টেম্বর আনিস আনসারি নামের এক সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করে ফেরার পথে জনরোষে পড়েন এবং তাদের গাড়ি উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে আনিস আহত হন। এ মাসের ৪ তারিখে কাশ্মীরে আন্দোলনকারীদের একটি র্যালির খবর সংগ্রহে গেলে ৪ জন সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হন। গতমাসে ৮ তারিখে আন্দোলনকারীদের ছবি তুলতে গেলে এক ফটোসাংবাদিক পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক জাবেদ খান বলেন, ‘আমরা সহিংসতা বাড়াচ্ছি কথাটি মোটেও ঠিক না, আমরা যাওয়ার আগেই এলাকায় দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
জুলাই মাসের ১০ তারিখ ৩ জন সাংবাদিক দাঙ্গায় আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তারা কথা বলতে রাজি হননি এবং সিআইডির দালাল ও সরকারি সংবাদ মাধ্যমের কর্মী বলে সবাই চিৎকার করে মারতে এগিয়ে আসে। রাইজিং কাশ্মীর ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার সাংবাদিকসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের কপালেও একই জুটেছে। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও থেমে নেই সাংবাদিকরা। বর্তমানের উত্তপ্ত ঘটনার প্রতি মুহূর্তে খবর না পেলে পাঠক বা দর্শকরাও তো বঞ্চিত হচ্ছেন সঠিক তথ্য পাওয়া থেকে। সেজন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়তই খবর সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। সূত্র : দ্য হুট। এফএ। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম