কোটালীপাড়ায় ১৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্দির অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আসন্ন দুর্গাপূজায় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ২৬৮টি মন্দিরের মধ্যে ১৭২টি মন্দির ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯১টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮১টিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেখানো হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কিন্তু উপজেলা জনপ্রতিনিধিরা পুলিশের এ তথ্য মানতে নারাজ। তাদের মতে, সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে দুর্গা উৎসব পালন করে। অপরদিকে উপজেলার হিন্দু ধর্মীয় নেতারা পুলিশ বাহিনীর এ তথ্যকে সঠিক বলে মনে করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কোটালীপাড়া উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাম বলেন, যেহেতু পুলিশ ঝুঁঁকিপূর্ণ মন্দিরের তালিকা তৈরি করেছে সেহেতু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এই তালিকা সঠিক।
দেবগ্রামের সমাজসেবক দেব দুলাল বসু পল্টু বলেন, গত কয়েক দিন আগে রাতে আমার এলাকার দুর্গা মন্দিরে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পরে আমরা আগামী দুর্গাপূজা নিয়ে আশংকায় আছি। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি এ উপজেলায় অনেক মন্দিরই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লীলাভূমি আমাদের এই কোটালীপাড়া। এখানে প্রতি বছর সকল ধর্মের লোক মিলে মিশে দুর্গা উৎসব পালন করে। আমি মনে করি পুলিশ প্রশাসন থেকে ঝূঁকিপূর্ণ মন্দিরের যে তালিকা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, দুর্গাপূজায় মন্দিরগুলোতে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় তার জন্য আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দির এলাকার যুবকদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি তারাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা