ফেসবুকে বাংলাদেশ…
সামাজিক মাধ্যমের যুগে জীবন বড় ভয়ঙ্কর
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পরিচালক বার্তা, একাত্তর টিভি
ময়মনসিংহের সদ্য বিদায় নেওয়া জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীকে নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় ফেসবুকে এবং অনলাইনে ব্যাপক লেখালেখিতে আমি নিজেও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। একজন জেলা প্রশাসক রাজার পোশাক পরেছে, এটা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে, কথা বলেছি জেলার নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে। সকলেই বলেছেন, মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, যার ডাকনাম কাজল, একজন কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। নিজে সংস্কৃতিমনা, তাই স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গেও ছিল তার সখ্যতা। তাদেরই একটি নাট্য সংগঠন তাকে ও তার পরিবারকে একটি অনাড়ম্বর সংবর্ধনা দেয়। এই অংশ হিসেবে তারা ‘কাজল বরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঘরোয়াভাবে এবং সেখানেই তাকে নাটকের পোশাক ঘর থেকে রাজার পোশাক এনে পরিয়ে দেয় এবং তাও খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় খুব দ্রুত। পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে পাবলিকের প্রিয় ছিলেন বলেই জানলাম। তবে এই ঘটনা আমলাদের জন্য শিক্ষাও। কি রকম আচরণ কোথায় করতে হবে, কোন আহ্বানে কতটুকু সাড়া দিতে হবে তা ভাবতে হবে। সামাজিক মাধ্যমের যুগে জীবন বড় ভয়ংকর।
‘এইডা মোক হবাই হবে’
পিনাকী ভট্টাচার্য, চিকিৎসক ও কলামিস্ট
একসময় ব্যবসায়ী ভাবল, আরে টাকা খরচ করে হাতি মার্কা এমডি রেখে লাভ কি? বরং নিজেই প্রধান নির্বাহী হই। নিজের ঢোল নিজেই পিটাই, অন্যকে দিলে যদি ফাটিয়ে ফেলে! বেজে গেল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বারোটা। সিনেমা প্রযোজক দেখল, আরে শাকিব খান আমার পয়সায় নায়ক হয়ে পর্দা কাঁপায়, আমি আর কম কিসে? এখন থেকে আমিই নায়ক। ব্যস বেজে গেল সিনেমার বারোটা।
টিভি চ্যানেলে গায়ক-গায়িকাদের জনপ্রিয়তা দেখে চ্যানেল মালিক এবং তার স্ত্রী বললেন, আমরাই হব গায়ক দম্পতি। ব্যস বারোটা বেজে গেল সংগীত আর টিভি চ্যানেলের।
তারপর ব্যবসায়ীরা আবিষ্কার করল, রাজনৈতিক দলে চাঁদা না দিয়ে নিজেই পার্টটাইম রাজনীতি করা লাভজনক। ব্যস হয়ে গেল। রাজনীতির বারোটা বাজল, সঙ্গে সঙ্গে দেশটারও।
টাকাওয়ালারা যেটা দেখে সেটাতেই বলে, ‘এইডা মুই হউম’ (এইটা আমি হব)। অপেক্ষায় আছি ফেসবুকের জয়জয়াকার দেখে তারা সেলিব্রেটি ফেসবুকার হবার জন্য আবার বায়না না ধরে বলে, ‘এইডা মোক হবাই হবে।’ (এইটা আমাকে হতেই হবে)।
অভিনন্দন বাংলাদেশ…
ডা. ইমরান এইচ সরকার, মুখপাত্র, গণজাগরণ মঞ্চ
জয় তো জয়ই, তার আবার ছোট বড় কী! অভিনন্দন বাংলাদেশ। কেবল আজকের ম্যাচ নয়, আমরা সিরিজও জিতব ইনশাআল্লাহ। সবাই কী বলেন?
শ্রদ্ধা আর ভালবাসা তাদের প্রতি
মনজুরুল আলম পান্না, সাংবাদিক
‘ফরিদপুরে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এই কমিটি কমিটি খেলা আর কতদিন? গণ জিপিএ ফাইভের যুগে টিক মেরে পাশ করা ডাক্তারদের কেউ একজন যে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছে, তা তো স্পষ্ট। এখানে গাফিলতি প্রমাণের আর কি আছে? তবে যে মহান দুই ব্যক্তির চেষ্টায় শিশু গালিবা হায়াতকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে তাকে অন্তত বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে, অশেষ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তাদের প্রতি।
গালিবা, তুই ভালো থাকিস মা…
লড়াইয়ের মানসিকতা যেন থাকে সব সময়
লুৎফর রহমান হিমেল, সাংবাদিক
খেলায় জয় পরাজয় দুটোই থাকে। কিন্তু এভাবে হেরে যাওয়া ম্যাচ বের করে আনতে দেখলে আনন্দ দ্বিগুন-তিনগুন-শতগুন হয়। এরকম খেললেই না বলা যায় তোমাদের নামের সঙ্গে ‘টাইগার’ উপাধিটা মানানসই এবং এই শেষ বলটা পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা যেন থাকে সব সময়। সব ম্যাচে জয়ের ক্ষুধা নিয়ে নেমো তোমরা। তুমুল লড়াই চাই। লড়ে যদি হেরে যাও, তবুও পাশে পাবে আমাদের।
জয় বাংলা।
জয় বাংলাদেশ ক্রিকেট।
জয় লাল সবুজ।