‘সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা চাই’
মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রামের নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন। পাশাপাশি সর্বোচ্চ স্বচ্ছুার সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রেখে জনগণের সেবা করা কথা বলেন নব নিযুক্ত এই জেলা প্রশাসক।
গতকা সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন অত্যান্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমি তারসব উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাবো। নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তন্মধ্যে ছিল-ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, কর্ণফুলী নদী দূষণ, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, বিভিন্ন স্কুলের লাগামহীন ভর্তি ফি, মিনি চায়নিজের নামে স্কুল পড়–য়াদের আড্ডা ইত্যাদি। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান সব সময় পরিচালনার উপর জোর দিয়ে এক সাংবাদিক বলেন, রমজান মাস আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দৃশ্যমান হয়, বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে তেমন হয় না।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। অনেকে বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। কর্ণফুলি দূষণ নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, কর্ণফুলী নদী বাঁচলে বাঁচবে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাঁচবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ নদীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এ নদীর অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান। জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কর্ণফুলী নদীকে অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করতে অনেক বাজেট ও বড় পরিকল্পনার প্রয়োজন। এ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের কলিম সরওয়ার। তিনি নতুন জেলা প্রশাসককে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিক সমাজ একসাথে কাজ করবেন বলেও জানান। সম্পাদনা: তারেক