শেরপুরে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত শিক্ষক প্রত্যাহার
শেরপুর প্রতিনিধি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাসন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরও সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শেরপুরে হাবিবুর রহমান (১২) নামে এক স্কুলছাত্রকে শ্রেণিকক্ষেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক শিক্ষক।
গতকাল সোমবার সকালে শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমিতে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পার্থ দত্ত নামে ওই খ-কালীন শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাকে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর তাকে দিয়ে ক্লাস নেওয়ার কারণেই ওই অঘটন ঘটেছে। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সচেতন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া এলাকার মৃত আলহাজ উদ্দিনের ছেলে ও সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুর রহমানকে লেখাপড়ায় অমনোযোগী ও শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবির কারণে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিজ্ঞান ক্লাস চলাকালে সহকারী শিক্ষক পার্থ দত্ত রাগান্বিত হয়ে স্টিলের স্কেল দিয়ে উপুর্যপরি পিটিয়ে আহত করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে শহরের বটতলা এলাকায় চাচা সারোয়ার জাহানকে জানালে তিনি বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন। কিন্তু ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস না পেয়ে আহত হাবিবুর রহমানকে নিয়ে তার চাচা ফেরত যাবার সময় সহপাঠীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে আহত হাবিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিমের কার্যালয়ে গিয়ে অবহিত করলে তিনি তাকে দ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক রায়হানা আক্তার বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় খ-কালীন নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক পার্থ দত্তকে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা