নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর) : টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়লসে বিস্ফোরণের ঘটনার ১৬ দিন পর ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে আরও তিন শ্রমিকের মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। এতে তিনটি মরদেহের মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার এক পর্যায়ে পাশাপাশি স্থানে মরদেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান। তিনি বলেন, একটি মরদেহের অংশ বিশেষ থেকে ইউসিবি ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ড পাওয়া গেছে, ডেবিট কার্ডের তথ্য অনুযায়ী নিহতের নাম চুন্নু মোল্লা (২২) বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের মাঝামাঝি অংশে ওই শ্রমিকদের দেহাবশেষটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এই কারখানায় দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজ তালিকায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তা রাশিদুল হাসান।
অপরদিকে উদ্ধার হওয়া বাকি দুটি দেহাবশেষ তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও স্বজনদের দাবি নিখোঁজের তালিকায় থাকা লাশ দুটি কারখানার সিনিয়র অপারেটর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এবং আনিসুর রহমানের। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসসহ তিনটি সংস্থাকে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় বাড়িয়ে আরও সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক।
দমকল বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন-বিসিক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা অধিদফতর ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা যায়। তবে গত বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের জন্য টাম্পাকোর ভিতরের রাসায়নিকের মজুদকে দায়ী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা