মন্ত্রী ও সচিবরা অফিস সময়ের পরও সচিবালয়ে অবস্থান করতে পারবেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন : অফিস সময়ের পরে সচিবালয়ে কোনো কর্মচারী অবস্থান করতে পারবে না এমন নিষেধাজ্ঞা কিছুটা পরিবর্তন করে ফের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রজ্ঞাপনের সংশোধনীতে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি যে, প্রয়োজনে মন্ত্রী ও সচিবরা কোনো প্রকার নোটিস এবং অনুমোদন ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরও সচিবালয়ে নিজেদের দফতরে অবস্থান করতে পারবেন। এছাড়া অন্যরা অফিস সময়ের পর প্রয়োজনে থাকতে চাইলে অনুমতি নিয়ে থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনটি সচিবালয়ের নিরপত্তার স্বার্থেই জারি করা হয়েছিল। তবে এখন কিছুটা সংশোধন করে আবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করছি আমরা। এতে কারও কাছে ভুল ম্যাসেজ গিয়ে থাকলেও আবার ঠিক হয়ে যাবে। সচিবালয়ে নিরাপত্তা থ্রেট আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা থ্রেট নেই। তবে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সচিবালয়ের ডিসিপ্লিন রক্ষার প্রয়োজন আছে। অকারণে কেউ অফিস সময়ের পর থাকতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ এর যুগ্ম-সচিব সাহেদ আলী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিরাপত্তার কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সচিবালয়ের ভিতরে অফিস সময়ের পরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান করতে পারবেন না।
জঙ্গিদের লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সহায়তায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নিহত ৬ জঙ্গির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কারণ এই লাশগুলোর কোনো দাবিদার পাওয়া যায়নি। তাদের অভিভাবকরা ক্ষোভে-দুঃখে লাশ গ্রহণ করছেন না। এক জঙ্গির অভিভাবক তো গণমাধ্যমেই বলেছেন, গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিকে তিনি পুত্র বলে স্বীকার করেন না এবং পুত্রের এ অপকা-ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে এখনও জঙ্গিদের কয়েকটি লাশ আছে। এই লাশগুলো যাতে তাদের আত্মীয় স্বজনরা নেন সেজন্য আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবো। যদি কোনো দাবিদার পাওয়া না যায়, তবে তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাফন করা হবে। এরপরই আলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। আমাদের এখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে।
সীমান্তে কোনো মরণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসের পর দিনই আরেক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে আমরা উভয় সরকারই আন্তরিক। এ বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম