ভারতের ৮টি সফল উপগ্রহ উৎক্ষেপণ
ইমরুল শাহেদ: ভারতের শ্রীহারিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে একটি রকেটের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন কক্ষপথে ৮টি স্যাটেলাইট শতভাগ সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘আমাদের আকাশ বিজ্ঞানীরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।’ এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এসসিএটিএসএটি-১ নামে প্রথমে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়। পরবর্তী দুঘণ্টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। দি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (আইএসআরও) উপগ্রহগুলো উৎক্ষেপণ করছে। ৩৭১ কেজি ওজনের এসসিএটিএসএটি-১ উপগ্রহটি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণায় কাজ করবে বলে জানা যায়। নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ এ এক অনন্য মুহূর্ত। এতে ভারতের জন্য আমরা আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি।
দি হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইটগুলোর সফল উৎক্ষেপণ ঘোষণা করে মিশন কন্ট্রোল সেন্টারে আইএসআরও চেয়ারম্যান এএস কিরণ কুমার বলেছেন, ‘সোমবারের এই সফল উৎক্ষেপণ আইএসআরওর ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।’ হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য রকেটটিকে দুবার প্রজ্জ্বলন করা হয়। এ কারণে এটাই হলো আইএসআরওর সবচেয়ে দীর্ঘতম পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল (পিএসএলভি)-র উৎক্ষেপণ বলা হচ্ছে। আইএসআরও জানিয়েছে, অতীতেও বেশ কয়েকটি পিএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণ হয়েছে। এবারই প্রথম পিএসএলভি ভিন্ন দুটি কক্ষপথে পে-লোড উৎক্ষেপণ করেছে।
দুঘণ্টা পর উৎক্ষেপিত স্যাটেলাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পিস্যাট ও প্রথম, আলজেরিয়া থেকে তিনটি বাণিজ্যিক পে-লোড (আলস্যাট-১বি, ২বি এবং ১এন) এবং একটি কানাডার জন্য (এনএলএস-১৯) এবং একটি যুক্তরাষ্ট্রের (পাথফাইন্ডার -১) জন্য। আলজেরিয়ার স্যাটেলাইট (১০৩ কেজি) থেকে বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কানাডার জন্য উৎক্ষেপিত স্যাটেলাইটটি মাইক্রো স্যাটেলাইট (৮ কেজি) এবং পাথফাইন্ডার-১ স্যাটেলাইটটি উচ্চ রেজুলেশনের ইমেইজ ধারণকারী মাইক্রো স্যাটেলাইট (৪৪ কেজি)। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা