ভেনিসে পর্যটকবাহী ক্রুজশিপ বন্ধে খারিতে নেমে প্রতিবাদ
প্রিয়াংকা আচার্য্য: ইতালির ভেনিস শহরে পর্যটকবাহী ক্রুজশিপের বিরোধিতা করে শতাধিক বিক্ষোভকারী এবার পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিশাল এই ক্রুজশিপগুলোয় ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক প্রতিদিন ভেনিসে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা মনে করে এতে তাদের শহর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এটি পরিবেশগত এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও ক্ষতি করছে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
গড়ে প্রতিদিন এসব বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক ভেনিস ভ্রমণে আসে। আর চড়া সময়ে পর্যটকদের সংখ্যা ৩০ হাজারে দাঁড়ায়। রোববার প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারী ছোট ছোট নৌকায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে ভেনিসের একটি খাড়িতে এর প্রতিবাদ জানায়। ভেনিস পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর এক শহর। আর এসব বিশাল ক্রুজ লাইনারগুলো এ শহরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবাদকারীরা আশঙ্কা করছেন। যদিও ক্রুজশিপ অপারেটরদের দাবি তাদের প্রমোদতরীগুলো সামান্যই ক্ষতি করছে। প্রায় ৫ হাজার পরিবার ভেনিসের পর্যটন শিল্পের উপর টিকে আছে বলে জানান তারা। ১৯৩৪ সালে ভেনিসে বসবাসকারীর ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫ হাজারে। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ পর্যটকদের কারণে শহরের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা ধীরে ধীরে অন্য শহরে চলে গেছে।
তবে এমন প্রতিবাদ শহরটিতে প্রথম নয়। এর আগে ২০১৩ সালে বিখ্যাত গিউডেক্কা খালে সাঁতার কেটে বন্দরে ক্রুজশিপ প্রবেশের প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে ভেনিসবাসী এ বছরের শুরু থেকেই বেশ সবর ছিল। এ মাসের প্রথম দিকে মাত্রাতিরিক্ত পর্যটকদের নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে ৫ শতাধিক স্থানীয় অভিবাসী শপিং ট্রলি ও পুশ চেয়ার নিয়ে শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ করেছিল।
উল্লেখ্য, দুনিয়াজুড়ে ধনীদের বিলাসী বিনোদন ক্রুজশিপে সাগর ভ্রমণ। এসব ক্রুজশিপে মাটির উপর থাকা বিলাসবহুল হোটেলের চেয়ে অধিক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন থাকে। প্রমোদতরীতে সাগর ভ্রমণের পাঁচটি জনপ্রিয় রুটের একটি অবস্থিত ইতালির ভেনিস শহরে। প্রতিবছর ২ কোটি ২০ লাখ পর্যটক ভেনিস ভ্রমণ করে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি