জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক আলেপ্পোর বর্বরতায় রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
নাসিমুজ্জামান সুমন: আলেপ্পোর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামন্থা পাওয়ার। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের দেয়া বক্তব্যে কেউই যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। আমাদের জনগণ প্রায়ই সারা বিশ্বে তাদের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে। রাশিয়া এখন যা করছে তাকে কোনোভাবেই সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ বলা যাবে না। এটি বর্বরতা।
সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি বন্ধের পরেও রক্তক্ষয়ী সংঘাতে আলেপ্পো এখনও অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্র। সিরিয়ায় কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বন্ধের পরও যে পরিমাণ হতাহত হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই শিশু। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অনুরোধে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামন্থা পাওয়ার এই অবস্থার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া আসাদ সরকারের সাথে একসাথে যুদ্ধ চালিয়া যাওয়ায় তিনি সিরিয়া বিষয়ে রাশিয়ার দেয়া বক্তব্যকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে অভিযোগ তুলেছেন। মার্কিন রাষ্টদূত যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যদের এক হয়ে রাশিয়াকে থামানোর আহ্বান জানান। অবশ্য অন্য অনেক সদস্যই আলেপ্পোতে জাতিসংঘের ত্রাণ বহরের হামলায় রাশিয়াকেই দায়ী মনে করছে। তাদের বক্তব্য, এমনটা হয়ে থাকলে রাশিয়া স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছে। তবে রাশিয়া ত্রাণবহরে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চুরকিন যুদ্ধবিরতি বন্ধের জন্যে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘শতশত সশস্ত্র দল সিরিয়ার অভ্যন্তরে ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে এবং সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।’
সিরিয়া জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্টুরার মতে, যুদ্ধবিরতি বন্ধ হয়ে যাবার পর এখন পর্যন্ত অন্তত ২১৩ জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। এই যুদ্ধভীতির নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। সূত্র: বিবিসি।