ইমরুল শাহেদ : তামিলনাড়–কে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন ৬ হাজার কিউসেক করে পানি সরবরাহ করতে হবে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্নাটক রাজ্য সরকারকে গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দিয়েছে। কর্নাটক সরকার পানি দিতে অক্ষমতা দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে এর ওপর শুনানি হবে আগামী শুক্রবার। একইসঙ্গে আদালত বলেছে, কর্নাটক ও তামিলনাড়–Ñ দুই রাজ্য একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করবে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
কর্নাটক সরকার অ্যাপেক্স কোর্টের কাছে সোমবার এক আবেদনে বলে, কাবেরি নদী থেকে তামিলনাড়–তে পানি সরবরাহের জন্য আগের দেওয়া আদেশ যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। কর্নাটকের জলাধার এখন প্রায় শুষ্ক। গত এক বছর ধরে যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্য প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ করতে পারেনি, যেখান থেকে বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ করা যেতে পারে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা কেবল পানি দিতে পারে বছরের শেষের দিকে।
পক্ষান্তরে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কর্নাটকের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন রেখেছে তামিলনাড়–। আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের ২০ সেপ্টেম্বরের দেওয়া আদেশ কর্নাটক মান্য করেনি। এ অভিযোগ তুলে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করার কথাও ভাবছে তামিলনাড়–।
বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট গতকাল পানি সরবরাহের আগের আদেশই বহাল রাখে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, ২৭ সেপ্টেম্বর (গতকাল) পর্যন্ত প্রতিদিন ৬ হাজার কিউসেক পানি তামিলনাড়–কে সরবরাহ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টে আগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করার ৩ দিন আগে কর্নাটক বিধান সভায় একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে বলা হয়Ñ কাবেরির পানি শুধু কাবেরি অঞ্চল ও ব্যাঙ্গালুরুর গ্রাম ও শহরের মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর জন্যই ব্যবহার হবে।
প্রসঙ্গত, কাবেরি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বিরোধ গত কয়েক দশকের পুরনো। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশের পর কর্নাটকের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা যানবাহন ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। সেই বিক্ষোভ এখনও বিক্ষিপ্তভাবে চলছে।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী