মুমিন: মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়ে গেল দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি এবং ট্রাম্পের বিতর্ক।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটনের বিতর্কে শুরু থেকেই যুক্তি পাল্টা যুক্তি দিচ্ছিলেন দুই প্রার্থীই। মার্কিন সময় সোমবার রাত ৮টায় হোফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া এ ৯০ মিনিটের বিতর্কে বাণিজ্য, আয়কর, ই-মেইল বিতর্ক, পররাষ্ট্র নীতি এবং জন্মসূত্র নিয়ে বিরোধ হচ্ছিল।
ট্রাম্প এবং হিলারির এ বিতর্কে কয়েকটি বিশেষ মুহূর্তকে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্পের মেজাজ নিয়ে কথা হওয়ায় ট্রাম্প বলেন, উনি সব সময় শান্ত মেজাজে কথা বলেন। এছাড়া ক্লিনটন এবং ট্রাম্প আইএসকে মোকাবিলার কৌশল কি হতে পারে তা নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বলেন।
এতদিন ধরে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে বিতর্কে জড়িত থাকলেও সামনা সামনি যখন তারা হলেন তখন ব্যক্তিগত আক্রমণও করতে ছাড়েননি দুজন। ট্রাম্প মঞ্চে আসার পর ১৯৯০ সালে হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের নাফটা চুক্তির সমালোচনা করে বলেন, এটা সবচেয়ে খারাপ ছিল।
অন্যদিকে ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী চেয়ে হিলারি বলেন, আসলেই কি ট্রাম্প এতটাই বড়লোক যতটা তিনি দেখান। তিনি কিছু একটা লুকাচ্ছেন।
প্রতিউত্তরে ট্রাম্প চ্যালেঞ্জ করেন হিলারিকে। তিনি বলেন, তার আইনজীবীর নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আমি আমার আয়কর বিবরণী পেশ করব যদি হিলারি মুছে ফেলা ৩৩ হাজার ই-মেইল প্রকাশ করেন।
বিতর্ক যখন শেষের পথে তখন তর্ক আরও বাড়তে থাকে। ট্রাম্প বলেন, তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গার সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি ঘুরে দেখছেন যেখানে হিলারি ঘরে বসে আছেন। উত্তরে হিলারি বলেন, ট্রাম্প আমাকে নিশ্চয়ই বিতর্কের প্রস্তুতির জন্য যে সময় নিয়েছি তার জন্য সমালোচনা করবে। জ্বি, আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
ক্লিনটন প্রশ্নের উত্তরে বার বার এটাই দেখাতে চেয়েছেন যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যোগ্য না। ট্রাম্প বলেন, হিলারি তার জীবনের সবটা সময়েই মনে হচ্ছে আইএস মোকাবিলা করার জন্য লড়ছেন। হিলারিকে কেন ট্রাম্প সব কিছুর জন্য তাকে দায়ী করছেন এটাকে উদ্ভট বলে ট্রাম্পের বক্তব্যকে হেসে উড়িয়ে দেন।
হিলারি ট্রাম্পের আয়কর নিয়ে পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন। হিলারি বলেন, আমেরিকার জনগণের জন্য ট্রাম্প যে আয়কর পরিকল্পনা করেছেন তা দেশের ঋণ আরও বাড়াবে এবং ধনীদের জন্য উপকারী হবে।
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল তখন ট্রাম্প বলেন তিনি দেশের ভিতর আরও চাকরির সুযোগ তৈরি করবেন যা হিলারি ৩০ বছর ধরেও করতে পারেননি।
ওবামার জন্মস্থান নিয়ে যখন প্রসঙ্গ উঠে তখন ট্রাম্প বলেন, এটা জাতিগত মিথ্যা ছিল। ট্রাম্প উত্তরে বলেন, এতে হিলারিরও ভূমিকা ছিল।
বিতর্কটি মধ্যস্থতা করেন লেস্টার হোস্ট। নির্বাচনের ছয় সপ্তাহ আগে তিনটি বিতর্কের প্রথমটি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হলো। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি