বিতর্ক নিয়ে হাফিংটন পোস্টের হাস্যরস ট্রাম্পের কথায় ১০ বার টেলিভিশন ভাঙতে উদ্যত হন নারীরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী হিসেবে মঞ্চে দাঁড়িয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। তবে এক হাস্যরসাত্মক (স্যাটায়ার) ধাঁচের প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট বলছে, এ বিতর্কে খুশি হতে পারেননি নারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটার ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি তৈরি করে হাফিংটন পোস্ট।
ওই হাস্যরসাত্মক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিতর্কে অংশ নেওয়া ট্রাম্পের বক্তব্যে এমন কিছু মুহূর্ত ও বক্তব্য ওঠে আসে যাতে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন নারীরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের প্রথমটির ৯০ মিনিট হতাশ করেছে নারীদের।
হাফিংটন পোস্ট এরকম দশটি ঘটনা তুলে ধরেছে, যখন বিরক্ত হয়ে নারীরা টিভি ভাঙতে চেয়েছেন অথবা টিভির দিকে কিছু ছুঁড়ে মারতে চেয়েছেন ক্ষোভে। ৯০ মিনিটের এ বিতর্কে নারীদের জন্য হতাশার সে ১০টি মুহূর্ত:
১। ট্রাম্প যখন কিছুক্ষণ থেমে ও কতৃত্ববাদী কণ্ঠে হিলারিকে বলেন, ‘আমি চাই আপনি সুখী হোন।’ কারণ ট্রাম্পের কাছে নারী মানে সব সময় তৃপ্ত ও হাসিখুশি। ফলে তাদের হয়ে কথা বলার অধিকার তিনি ভোগ করেন। ২। বিতর্কের পুরোটা সময় ট্রাম্প হিলারি কথা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কথা বলেন। ক্লিনটন যখন গুরুগম্ভীর বিষয় ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন তখনও ট্রাম্প নাক গলিয়েছেন। হাফিনটন পোস্টের দাবি, অনেক নারীকে এটাকে নারীর উপর পুরুষের নাক গলানো হিসেবে বিবেচনা করছেন। অনেক নারী মনে করেন, এ ধরনের বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিনিয়তই হতে হয় নারীকে। ৩। যখন ট্রাম্প পুরুষ হয়ে হিলারিকে একজন নারী বিবেচনা করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করছিলেন বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে। ৪। যখন ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার না করে নিউ ইয়র্কে অসাংবিধানিক হিসেবে স্বীকৃত বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিবেচনা করার নীতির প্রশংসা করেন। ৫। ট্রাম্প যখন অস্ত্রের অধিকার রক্ষার সংস্থা এনআরএ-এর রেটিং বৃদ্ধির প্রশংসা করেন। কারণ সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়িতে অস্ত্র থাকা মানে সেখানে নারীর খুনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ৬। যখন ট্রাম্প নিজের অর্থ, হোটেল ও সম্পদ নিয়ে বড়াই করা থেকে বিরত থাকতে পারছিলেন না। বারবার তা বলে যাচ্ছিলেন। ৭। উপয্ক্তু কথা খুঁজে না পেয়ে ট্রাম্প যখন হামাগুঁড়ি দিচ্ছিলেন। ৮। আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খিটখিটে মানুষ ট্রাম্প যখন দাবি করেন তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মেজাজ রয়েছে। ৯। ট্রাম্প যখন বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মনোবল নেই হিলারির। ১০। হিলারির উদ্দেশে ট্রাম্প যখন বলেন, সব নারীকে প্রথমত ও সবার আগে কোমল মনের এবং দয়ালু হতে হবে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ