মতিঝিলে যুবলীগকর্মী বোচা বাবু হত্যা এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে গ্রেফতারদের ঘিরে তদন্ত
বিপ্লব বিশ্বাস: গত ১১ দিনেও মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে যুবলীগকর্মী রিজভী হাসান বাবু ওরফে বোচা বাবু হত্যামামলায় এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। তবে এজাহারের বাইরে পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে বাবুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি মারুফ রেজা সাগরও (৩৫) আছেন।
এই পাঁচজনই যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বাবু হত্যাকা-ের পরদিন সাগরকে বাবুদের বাসায় দেখা গেছে। লাশ দাফন, জানাজা নিয়েও বাবুর বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। এদের পাঁচজনের গ্রেফতার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মতিঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন,‘মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবু তাহের ভূঁইয়া বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূলত এ হত্যাকা-। আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সাগর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি। অপর চারজন হলেনÑ শেখ আবু মাহামুদ ওরফে তাপস (৩৫), তাহযীব আহম্মেদ শাবাব (২৯), মো. নাসির উদ্দিন (৩৩) ও আসিফ মোশাররফ অন্তু (২৪)। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সাগরের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় হত্যামামলাসহ আরও ছয়টি মামলা আছে। সাগরের সঙ্গে একসময় বাবুর বিরোধ ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা আবার এক গ্রুপে রাজনীতি করে।’ এজাহারভুক্ত আসামিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এজাহারে নাম আসার পর থেকেই তারা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, এজিবি কলোনির স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রেফতার সাগর ও বাবু খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমরা সবাই এক সঙ্গে রাজনীতি করি। সাগর মিল্কী ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ এবং ভাতিজা। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। মিলনসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। শুনেছি তাদের অনেকেই শাজাহানপুর, মতিঝিল এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিলন যুবলীগ নেতা এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেকের অনুসারী। তারা এজিবি কলোনিতে তারেকের যে অফিস ছিল সেখানে বসতো। হত্যাকা-ের পর মিল্কী ও তারেকের দুটি অফিসই পুলিশ বন্ধ করে দেয়।’
নিহত বাবুর বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে মারা গেছে, আমি এ হত্যার বিচার চাই। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি মামলায় কয়েকজনের নামও দিয়েছি। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক মিথ্যা তথ্য পত্রিকায় আসছে। এতে আমি সুষ্ঠু বিচার নাও পেতে পারি। আমার ছেলে মাসে ১০ হাজার টাকা ডিস ব্যবসা থেকে পেত, গণমাধ্যম তা ১০ লাখ বানিয়েছে।’ সম্পাদনা: সুমন ইসলাম