সৈয়দ হকের অগুনতি বইগুলো
বিশ্বজিৎ দত্ত : গ্রামের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি করতে চান। কিছু টাকাও এর জন্য খরচ করবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক সৈয়দ শামসুল হক। বসে আছেন, সাবেক আয়কর সদস্য আহমেদ আলীর কক্ষে।
জানালেন, বাসায় প্রচুর বই জমে গেছে। এখন রাখারও আর জায়গা নেই। বইগুলোকে তো আর ফেলে দিতে পারি না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রামের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি করবো।
: কত বই আপনার।
: জানি না। দুজনের বই, কত শত হাজার।
সৈয়দ হক নিজে থেকেই বলতে লাগলেন, বই দেখি আর কিনে ফেলি। এর উপরে লেখকদের বই। প্রত্যেকেই বই প্রকাশের পর আমাকে একটা কপি দেয়। জমতে জমতে অনেক হয়ে গেছে।
বললাম, নতুন লেখকরা আপনাকে বই দেয়। একটু হাসলেন। বললেন, তারই তো বেশি দেয়। আমি প্রত্যেকের বই পড়ি। কত বৈচিত্র্য তাদের লেখায়।
: কারো ভাল লেগেছে?
: সেটা বলবো না। ভাললাগাটা আমার নিজের।
তারপর বললেন, বাড়তি বইগুলো কাউকে দিয়েও দিতে পারতাম। কিন্তু মনে হলো, কার হাতে কীভাবে বইগুলো থাকবে কে জানে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গ্রামের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি করব। একটি চক্ষু হাসপাতালের কথাও বললেন।
জানি না সৈয়দ হক লাইব্রেরি করেছিলেন কি না। আবারো তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমার সঙ্গে পরিচয় একবারই। কিন্তু তিনি আমাকে দেখলে চিনতেন। কখনো জিজ্ঞেস করতেন, কেমন আছেন? আমি আর বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করিনি।