ভারতে গ্রেফতার জঙ্গিদের জিজ্ঞাসা করবে সিটিটিসি! ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে শীর্ষজঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয় তারাই
বিপ্লব বিশ্বাস : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩ জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবদের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। এরইমধ্যে পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বরাতে জানা গেছে, শিলচরের শিলংপট্টি থেকে জালনোটসহ গ্রেফতার করা হয় জাহিদুল শেখ ওরফে জাবিরুল ওরফে জাহিদ নামে এক বাংলাদেশিকে। সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জঙ্গি আস্তানা ও বাকিদের সন্ধান মেলে। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের নতুনবাজার থেকে মঙ্গলকোটের ইউসুফ এবং অসমের বরপেটার তারাবাড়ি থানার রোমারি পাথর গ্রামের বাসিন্দা শাহিদুল ইসলাম ওরফে সূর্য, বনগাঁর বাগদা রোড এলাকা থেকে বাংলাদেশের জামালপুরের দুই বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে কালো ভাই ও মহম্মদ রফিক ওরফে রুবেল এবং উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলকোটেরই কুলসোনা দিঘির বাসিন্দা আবুল কালাম ওরফে আজাদকে।
আনোয়ারসহ জঙ্গিদের এই দলটির কয়েকজন সদস্য গুলশানের ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা এবং পুলিশ খুন করে দুই শীর্ষজঙ্গি সালাউদ্দিন সালেহান ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান ওরফে কওসরসরসহ তিনজনকে ছিনিয়ে নিয়েছিল আনোয়ার ও তার দলবল। গুলশান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়া ইদগাহে জঙ্গি হামলা ঘটে যাওয়ার পর থেকে তাদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলেছে, নব্য জেএমবির আরো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতে গ্রেফতার জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত দুর্ধষ জেএমবি জঙ্গিদের যে যোগযোগ ছিল এ ব্যাপারে ভারতের এনআইএ আগেই জানিয়েছিল। মূলত তাদের দেওয়া কিছু তথ্যের উপর নির্ভর করে গত সপ্তাহে বেশকিছু এলাকায় অভিযান চালায়। তবে কেউ ধরা পরেনি। অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, নব্য জেএমবি সদস্যরা আগের তুলনায় অনেক সক্রিয়, চতুর, শিক্ষিত এবং দুর্ধষ। এর অধিকাংশই সিøপার সেলের সদস্য। তারা যেকোনো সময় বড় ধরনের হামলা চালানোর মতো যথেষ্ট সক্রিয়। সম্পাদনা : হসিবুল ফারুক চৌধুরী