অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী ছিলেন সৈয়দ হক
রুবি রহমান
সৈয়দ শামসুল হক বাংলা সাহিত্যে বিশাল অবদান রেখে গেছেন, যা অকল্পনীয়। অনেকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তার চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নেওয়ার মতো মানসিক পরিস্থিতি বাঙালি সাহিত্যপ্রেমিদের কারোরই এখন নেই। তিনি চলে গেছেন, অপ্রত্যাাশিত একটা বেদনায় আমরা ভারাক্রান্ত হয়েছি। সব্যসাচী লেখক বলেই পরিচিত হয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের এমন জায়গা নেই, যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। তার সবচেয়ে যে বিষয়টি এখন মনে পড়ছে, আমাদের যা শুধু অনুসরণীয় হয়ে থাকবে তা হচ্ছে, তার অফুরন্ত প্রাণশক্তি। অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, তখন একটি গল্পের ইংরেজি অনুবাদ পড়ে শোনাচ্ছিল তার ছেলে। এমন অসুস্থ অবস্থায়ও যেভাবে তিনি গল্পটা শুনছিলেনÑ তার এই অংশগ্রহণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। এমন মুমূর্ষূ অবস্থায়ও তিনি যে সাহিত্যকর্মে নিজের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। যদিও তার ছেলে পড়েছে কিন্তু তিনি সর্বক্ষণ সজাগ থেকে নীরবে ওই পাঠে অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই লেগে থাকা আমাদের সবার জন্যই অনুসরণ করার মতো। তিনি আমাদের সকলের অনুসরণীয়। শুধু সাহিত্যকর্মীরাই নন, সমগ্র বাঙালির কাছেই তিনি অনুসরণীয়। তার দেশপ্রেম, কর্তব্য, নিষ্ঠা এবং বাংলা সাহিত্যে তার যে অবদান তা আমাদের চিরকাল মনে থাকবে।
পরিচিতি: কবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান