ভারতীয় আগ্রাসন ঠেকাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অঙ্গীকার পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘদিনের বৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় পকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার থেকে নিবৃত হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এএনএ
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মঙ্গলবার স্থানীয় টিভি চ্যানেল এক্সপ্রেস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুশিঁয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শনীর জন্য উন্নয়ন করেনি। এগুলো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।’
খাজা আসিফ বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় বাহিনী যদি আমাদের নিজস্ব সীমানায় ঢুকে কোনো রকম অরাজকতার সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে পাকিস্তান হাত ঘুটিয়ে বসে থাকবে না। সেক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ছাড়া আমাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না।’ বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ভারতীয় সেনা সদর দফতরে জঙ্গি হামলার পর দুই পারমাণবিক প্রতিবেশীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ বক্তব্য দিলেন। নয়াদিল্লি এ হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছে। তবে, পাকিস্তান এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন।
আসিফ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় পাকিস্তান সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’ আন্তর্জাতিক মনিটরদের অনুমান অনুযায়ী, পাকিস্তান ও ভারত যথাক্রমে ১০০-১১০টি এবং ৮০-১০০টি করে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। শক্তিশালী এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯৪৭ সাল থেকে ভূমি এবং সমুদ্র বিরোধ নিয়ে ইতোমধ্যে তিনটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। যার দুটিই কাশ্মীর নিয়ে। ১৯৪৭ সালে বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলকে দেশ দুটির মধ্যে বিভক্ত করা হয়। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীর অঞ্চলকে তাদের নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ