আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর কল্যাণপুরের ৯ জঙ্গির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে জুরাইনে দাফন
সুজন কৈরী: রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের চালানো ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ এ নিহত ৯ জঙ্গির লাশ দাতব্য প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুলকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদের লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে জঙ্গিদের লাশ গ্রহণ করে আঞ্জুমান মুফিদুল। পরে সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর এবং আঞ্জুমান মুফিদুলের কর্মকর্তা এম এ কামাল তিনটি পিকআপে ৯ জঙ্গির লাশ নিয়ে জুরাইন কবরস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে জোহর নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
আঞ্জুমান মুফিদুলের মুগদা শাখার ডিউটি অফিসার শাহাব উদ্দিন বলেন, ৯ জঙ্গির লাশ দাফনের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছে। ওই খবরের ভিত্তিতে লাশ গ্রহণ করা হয়।
ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, সিটি ইউনিটের কাছ থেকে আঞ্জুমান লাশ গ্রহণের নির্দেশ পেয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণপুরের ৯ জঙ্গির লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই ভোরে কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিংয়ের জঙ্গি আস্তানায় চালানো পুলিশি অভিযানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। এদের মধ্যে ৮ জনের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিভাগের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ৮ জঙ্গি হলোÑ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বল্লভপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানম-ির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক, সাতক্ষীরার তালার ওমরপুরের নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান, ঢাকার গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান, বসুন্ধরা আবাসিকের বাসিন্দা তৌহিদ রউফের ছেলে সাজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালীর সুধারামের মাইজদীর আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন, রংপুরের পীরগাছার পুরশুরার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান কবির ওরফে তারেক ওরফে ফারুক। এদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে লাশ না নেয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হল।
এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী