প্রাইম মুভার্স ধর্মঘট অব্যাহত চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে বাড়ছে কনটেইনার
মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: ওজন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। সোমবার সকাল থেকে প্রাইম মুভার্স অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্মঘটের ডাকা দেন।
তারা জানান, চট্টগ্রাম চেম্বার ও পোর্ট ইউজার্স ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ধর্মঘটের কারণে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলে আসছে। বন্দরে থাকা ২০-৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার কিংবা ভারি যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে টেইলরের বিকল্প নেই। শিগগির সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজিএমইএর চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্মঘটের কারণে বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য পোশাক কারখানায় আসতে না পারায় চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। দেশের বাইরে থেকে আনা শিপমেন্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হবে। যার কারণে নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বে পোশাক শিল্পের (আরএমজি) উদ্যোক্তারা।
অন্যদিকে বন্দরে রপ্তানি পণ্য ভর্তি কনটেইনার না নিয়ে জাহাজ চলে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। কারণ একটি জাহাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান করলে ওই জাহাজকে ১০ হাজার ডলার মাশুল গুনতে হয়। সেই কারণে তারা কনটেইনার না নিয়ে চলে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার্স ওনার্স মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, একটি প্রাইম মুভার্সে সর্বোচ্চ ৩৩ টন পণ্য পরিবহনের সীমা বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু ১৪ চাকার একটি মুভার্সে কমপক্ষে ৫০ টন পণ্য থাকে। গত তিন দিন ধরে দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রিজে কয়েকশ প্রাইম মুভার্সকে আটক রেখে হয়রানি ও চালক- শ্রমিকদেরকে মারধর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সরকার দলীয় সংগঠন থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনোরকম কথা হয়নি। তবে বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ রাখবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা