হাসিনার হাতে পরিবেশ পদক ও সুন্দরবনের মৃত্যুর পরোয়ানা : রংপুরে আনু মুহাম্মদ
মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, রংপুর: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার বিকালে এক কমিউনিটি সেন্টারে ‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে। সুন্দরবন ৩৫-৪০ লাখ লোকের জীবিকার যোগান দেয়। প্রায় ৪ কোটি মানুষের জীবন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত নানা জীববৈচিত্র্যের আধার হলো সুন্দরবন। সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কি.মি. দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে প্রতিদিন ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড বের হবে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৪ কোটি গাছ কেটে ফেলার সমান। এছাড়া সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মার্কারি, আর্সেনিক, সীসাসহ বছরে আড়াই লাখ টন ছাই, বায়ু-পানি-শব্দ দূষণ ও নদীপথে কয়লা পরিবহন ও পানি প্রত্যাহার, তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে অল্প সময়েই সুন্দরবন ধ্বংস হবে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে ইউনেস্কো তিন-তিনবার এ প্রকল্প বন্ধ করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। অথচ এসবে সরকার কর্ণপাত করছে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক হাতে পরিবেশ পদক আরেক হাতে সুন্দরবনের মৃত্যুর পরোয়ানাÑ এটা দেশবাসী মেনে নেবে না। ইতিমধ্যে সুন্দরবন রক্ষায় দেশে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও ভারত, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন বিজ্ঞান ও পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবি করেছে ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের বেরোবি সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বেরোবির বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রিষিণ পরিমল, অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, বাসদ জেলা সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, বেরোবি’র ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিউর রহমান, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা ইমরান হাবিব রুমন প্রমুখ। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা