ইনুর জাসদকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ কেন বেআইনী নয় জানতে চায় হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)- এর মশাল প্রতীক হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশকে বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশন ও হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ অংশকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল আলম বাবর। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন। পরে জহিরুল আলম বাবর সাংবাদিকদের বলেন, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া ও রিভিউ শুনানির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বাদল-আম্বিয়া পক্ষকে না ডেকে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটি আইনসম্মত হয়নি। সে কারণে ইসির ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করি।
এর আগে জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে জাসদ দুই ভাগ হয়। জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের পাশাপাশি পাল্টা কমিটি গঠন করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান। দলটি বিভক্ত হওয়ার পর গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইনু-শিরীনের নেতৃত্বাধীন অংশকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১২ মে কমিশনে আবেদন করেন আম্বিয়া-নাজমুলের নেতৃত্বাধীন অংশ। কিন্তু রিভিউ নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া। রিট আবেদনের প্রেক্ষিত্রে গত ২২ জুন হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ওই রিভিউ আবদেনটি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর নির্বাচন কমিশন ১০ আগস্ট তাদের আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পরবর্তীতে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ সেপ্টেম্বর আবারও উচ্চ আদালতে যায় জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান অংশ। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম