প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সংবর্ধনা দেবে ১৪ দল
রফিক আহমেদ: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’- এ দুটি পুরস্কারে ভূষিত করায় দেশে ফেরার দিন প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর থেকে তার সরকারি বাসভবন গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিপুল জনসমাগম ঘটাতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দল ও সমমনা বিভিন্ন সংগঠনও উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ পান প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রমতে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে বরণ উপলক্ষে নতুন সাজে সাজবে রাজধানী ঢাকা। অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে সংবর্ধনা জানাবে। রাস্তার দুইপাশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের রঙিন ব্যানার-পোস্টার থাকবে। পাশাপাশি সাজিয়ে তোলা হবে রাস্তার দুইপাশ। এছাড়াও ধুলাবালি মুক্ত, ঝকঝকে তকতকে এবং সড়কে থাকবে বর্ণিল আলোকচ্ছটা। সড়কদ্বীপের দেশি-বিদেশি গাছগুলোকে পরিচর্যা দিয়ে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে। ফোয়ারায় থাকবে আলো-ছায়ার খেলা। পানির ছোঁয়ায় শহরের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যগুলো ফের প্রাণ ফিরে পাবে। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এভাবে রাজধানীকে নতুন সাজে সাজাবে আওয়ামী লীগ। এতে একদিনের জন্য বদলে যাবে চিরচেনা রাজধানীর দৃশ্যপট।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ঘটাতে একাধিক প্রস্তুতি ও যৌথসভা করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা আয়োজিত হলেও ১৪ দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দল ও সংগঠন এবং সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নিবেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা থেকে সব রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে শুধু ভালবাসা ছাড়া দেওয়ার মতো আমাদের কিছু নেই। আমরা তাকে ছোট্ট একটা ধন্যবাদ দেব। তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে এলে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তাকে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত অভ্যর্থনা দেবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন এমন উচ্চতায় পৌঁছেছেন যে তিনি এখন আর শুধু আওয়ামী লীগের নন, পুরো জাতির। বিমানবন্দর থেকে মিছিলসহকারে প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা ব্যানার-পোস্টারে তিনজনের বাইরে আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। ওই তিনজন হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম